ইরানের ‘অ্যাক্সিস অফ রেজিস্টেন্স’ কী?

এটি কয়েকটি ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠীর একটি নেটওয়ার্ক, যেটি দিয়ে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে৷ ১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর এই নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে৷ গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এই নেটওয়ার্কের কয়েকটি গোষ্ঠী ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করেছে৷

কয়েকটি সশস্ত্র কট্টরপন্থি শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর জোট এটি৷ ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর এই জোট সিরিয়া ও ইরাকে থাকা মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে দেড়শোর বেশি হামলা চালিয়েছে৷ ২৮ জানুয়ারি জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তে অবস্থিত মার্কিন এক ঘাঁটিতে হামলার জন্য ইসলামিক রেজিস্টেন্স ইন ইরাককে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন৷

গত কয়েকমাসে মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা করা ইরাকি সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে আছে কাতাইব হেজবোল্লাহ ও নুজাবা গ্রুপ৷ ইরানের এলিট রেভুলুশনারি গার্ডসের সঙ্গে এরা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত৷ তাদের কাছে ড্রোন, রকেট ও ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে৷ এসব গ্রুপকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র৷

রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি৷ ৩১ অক্টোবর সানা থেকে ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও মিসাইল ছুড়ে যুদ্ধে প্রবেশ করে তারা৷ এরপর নভেম্বরে লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা ইসরায়েলের বন্দরের দিকে যাওয়া জাহাজে হামলা শুরু করে হুতিরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস হুতিদের মিসাইল ও ড্রোন হামলার পরিকল্পনায় সহায়তা করছে ইরানের রেভুলুশনারি গার্ড৷ ইরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷

৮ অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় প্রতিদিন হামলা করছে লেবাননের হেজবোল্লাহ গ্রুপ৷ ১৯৮২ সালে ইরানের রেভুলুশনারি গার্ড হেজবোল্লাহ প্রতিষ্ঠা করে৷ এরপর থেকে এটি ঐ অঞ্চলে তেহরান সমর্থিত অন্যান্য গোষ্ঠীর জন্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে৷ লেবানন রাষ্ট্রের চেয়েও হেজবোল্লাহ শক্তিশালী বলে মনে করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্র হেজবোল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে৷