1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাক, সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর পালটা হামলা

১৩ মার্চ ২০২০

বুধবার ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীর উপর রকেট হামলার পর বৃহস্পতিবার ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর উপর পালটা হামলা চালানো হয়েছে৷ ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3ZL8m
ইরাকে তাজি সামরিক ঘাঁটি
ছবি: AFP/A. Al-Saadi

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের ফলে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেলেও অনেক প্রান্তে সামরিক সংঘাত বন্ধ হচ্ছে না৷ ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর স্থাপনার উপর ‘প্রতিরক্ষামূলক' বিমান হামলা চালিয়েছে৷ বুধবার বাগদাদ শহরের বাইরে তাজি সামরিক ঘাঁটির উপর হামলায় দুই মার্কিন ও এক ব্রিটিশ সৈন্য নিহত ও ১২ জন আহত হবার পর মার্কিন বাহিনী এমন প্রতিশোধমূলক হামলা চালালো৷ কোয়ালিশন বাহিনীর উপর কমপক্ষে ১৮টি রকেট হামলা চালানো হয়েছিল৷ তারপর অ্যামেরিকা ও ব্রিটেন এর পর পালটা হামলার ইঙ্গিত দেয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে সেই অধিকার দিয়েছেন৷

আপাতত অ্যামেরিকার নিশানা কাতাইব হেজবোল্লাহ গোষ্ঠী৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই গোষ্ঠীর পাঁচটি অস্ত্রের গুদামের উপর হামলা চালানো হয়৷ ফলে এই গোষ্ঠী ভবিষ্যতে অ্যামেরিকার নেতৃত্বে কোয়ালিশন বাহিনীর উপর সহজে হামলা চালাতে পারবে না বলে আশা করছে ওয়াশিংটন৷ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে এই নিয়ে তিনবার কাতাইব হেজবোল্লাহর উপর হামলা চালালো ওয়াশিংটন৷ ভবিষ্যতেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

একই রাতে ইরাকের সীমান্তের কাছে সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে হাশাদ আল শাবি গোষ্ঠীর ২৬ জন শিয়া মিলিশিয়াকে হত্যা করা হয়েছে৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের ধারণা, কোয়ালিশন বাহিনীর উপর হামলার প্রতিশোধ নিতে সেখানে মার্কিন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে৷

ইরাকের ভূখণ্ডে ইরানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা মেনে নেওয়া অ্যামেরিকার জন্য মোটেই সহজ নয়৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে বাধ্য হয়ে ইরানের সঙ্গে সহযোগিতার পথে গেলেও দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘাত সাম্প্রতিক কালে বেড়ে চলেছে৷

ইরাকের সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে পড়েছে৷ প্রেসিডেন্টের দফতর কোয়ালিশন বাহিনীর উপর বুধবারের হামলার নিন্দা করেছে৷ এর ফলে ইরাক ও সে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে৷ সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে ইরাকের সরকারের অনুরোধেই কোয়ালিশন বাহিনী আইসিস সন্ত্রাসবাদীদের দমনের কাজে সহযোগিতা করছে৷ অন্যদিকে মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি নিয়ে দেশে অসন্তোষের ফলে ইরাকের সরকার চাপের মুখে রয়েছে৷ বিশেষ করে ইরাকের ভূখণ্ডে ইরানের কুদস বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে৷ জানুয়ারি মাসে ইরাকের সংসদ এক প্রস্তাব পাশ করে সরকারকে দেশ থেকে বিদেশি সৈন্য দূর করার নির্দেশ দিয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)