1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটের হার কম

১১ অক্টোবর ২০২১

সরকার-বিরোধীরা বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। ইরাকের তরুণরাও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহী ছিলেন না।

https://p.dw.com/p/41VGP
রোববার ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট হলো। ছবি: Hadi Mizban/AP Photo/picture alliance

রোববার ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন হলো। কিন্তু সেই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ ছিল কম। ভোটের হারও ছিল খুবই কম।

২০১৯ সালে ইরাকের তরুণরা দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তারপর এই প্রথম নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়েও ইরাকের তরুণরা আদৌ উৎসাহী ছিলেন না।

ভোটের উপর নজর রাখা স্থানীয় সংস্থা শামস ইন্টারন্যাশনালের প্রাথমিক রিপোর্ট হলো, মাত্র ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

রাজনৈতিক নেতাদের উপর আস্থা নেই?

ভোটদানপর্ব চলেছে ১১ ঘণ্টা ধরে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় ভোটপর্ব শেষ হয়। তারপর প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা আল-কাধিমি টুইট করে বলেছেন, ''আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছি।'' 

কিন্তু তার সমালোচকরা জানিয়েছেন, ভোটদানের হার দেখিয়ে দিচ্ছে, বর্তমান সরকার যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে পারে, সেই দাবির উপর অধিকাংশ ভোটদাতাই আস্থা রাখতে পারছেন না।

ইরাকের চার কোটি মানুষের মধ্যে দুই কোটি ৪৯ লাখ ভোটার। ভোটপর্ব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে শামস ইনটারন্যাশনাল জানিয়েছে। ২০১৮ সালে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

পরিবর্তনের আশা কম

পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ৪১ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে কোনো নথিপত্র দেখতে চাওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট কয়েকটি ভোটদানকেন্দ্র ছাড়া সাংবাদিকদের অন্য জায়গায় যেতে দেয়া হয়নি।

Irak Parlamentswahlen 2021 Wahllokal
ভোট দিয়ে বেরোচ্ছেন এক বৃদ্ধা।ছবি: Anmar Khalil/AP Photo/picture alliance

ভোটদাতারা ৩২৯ জন পার্লামেন্ট সদস্যকে নির্বাচিত করবেন। তারপর নির্বাচিত সদস্যরা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেবেন। সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা দীর্ঘ হতে পারে। ইরাকের নতুন নির্বাচনী আইন অনুসারে ভোট হয়েছে। তাতে নির্দল সদস্যদের জেতার সম্ভাবনা বেড়েছে।

গত কয়েক মাসে ইরাকে সহিংসতার ফলে ছয়শ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাজারের বেশি মানুষ আহত। এই পরিস্থিতিতে সরকার-বিরোধীরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন।

ইরাকের যুব সম্প্রদায় পরিবর্তন চায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই পরিবর্তন হবে কি?

মুনা হুসেন সিনেমার মেক আপ আর্টিস্ট। ২২ বছর বয়সি এই পেশাদার ভোট দেননি। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই তিনি ভোট দিতে যাননি। তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। চতুর্দিকে মানুষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। তার মতে, এই পরিস্থিতিতে অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)