ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে পারলো না পুলিশ

রাত থেকে শুরু হয়েছিল ইমরানকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা। কর্মী ও সমর্থকরা ইমরানের বাড়ি ঘিরে রাখায় তা সম্ভব হয়নি। শেষপর্যন্ত আদালত জানায়, ইমরানকে এখন গ্রেপ্তার করা যাবে না। তারপর লাহোরের বাড়ির বাইরে আসেন ইমরান খান।

ইমরানের দলের তরফে কর্মীদের কাছে আবেদন জানানো হয়, তারা যেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রাখেন। পুলিশ যেন ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে না পারে। কর্মীরাও সেই ডাকে সাড়া দেন। তারা ইমরানের জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে রাখেন।

পুলিশ ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে জামান পার্কের বাড়িতে গেলে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ ইমরানের সমর্থকদের বাধা অতিক্রম করে ভিতরে যেতে চায়। শুরু হয় সংঘর্ষ। ইমরানের সমর্থকরা কিছুতেই পুলিশকে ভিতরে ঢুকে নেতাকে গ্রেপ্তার করতে দিতে রাজি ছিল না।

ইমরানের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সমানে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। কিন্তু তারপরেও তারা সমর্থকদের সরাতে পারেনি। ভোররাত থেকে শুরু করে বুধবার দিনের অনেকটা সময় ধরে এই প্রয়াস চলতে থাকে।

এই ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে কী হয়েছিল। একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের সেল এসে পড়ছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ইট। তার মধ্যে দিয়ে ইমরানের সমর্থকরা কাঁদানে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

ইমরানের সমর্থকরাও পুলিশের সঙ্গে সমানে লড়ে যান।

ইমরানের বেশ কিছু সমর্থককে পুলিশ আটক করে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের আলোচনায় বসা উচিত। তিনি জানিয়েছেন, ইমরানের দলকে দুইবার আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানালেও তারা আসেনি।

ইমরান দাবি করেছেন, পুলিশ বেআইনিভাবে তাকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিল। আগামী শনিবার পর্যন্ত তিনি আগাম জামিন নিয়ে রেখেছেন। তিনি জেলে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তিনি জানেন না, কতদিন সেখানে থাকতে হবে।