1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ায় সাগর পথে হাজির আরও কয়েকশো রোহিঙ্গা

১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কয়েক সপ্তাহ ধরে নৌকায় সাগরে অপেক্ষার পর অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে নামতে সক্ষম হয়েছেন কয়েকশো রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত অনেক রোহিঙ্গা অনিয়মিত সাগর পথে দেশটিতে পৌঁছেছেন৷

https://p.dw.com/p/4ZzkX
রোববারের নতুন আগতরা ছাড়াও দেশটিতে গত একমাসে বারোশর মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর৷ 
গত কয়েক সপ্তাহে অনেক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়া গেছেনছবি: Stringer/REUTERS

তিনশো থেকে চারশোর মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী রোববার ইন্দোনেশিয়া আচেহ প্রদেশের সমুদ্রতটে নামতে সক্ষম হয়েছেন৷ তার আগে দুটো নৌকায় কয়েক সপ্তাহ সাগরে কেটেছে তাদের৷ মূলত বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে নৌকায় করে গত কয়েক সপ্তাহে সহস্রাধিক শরণার্থী ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন৷

নিজেদের কথা শোনাতে লড়ছে রোহিঙ্গা নারীরা

নৌকায় করে সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানো এক রোহিঙ্গা ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান যে তাদের নৌকা ছয় সপ্তাহের মতো সাগরে ছিল৷ নৌকাটি এক পর্যায়ে ডুবতে শুরু করে এবং তাতে কোনো খাবার বা পানীয় জল অবশিষ্ট ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

তবে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের আপাতত সমুদ্রসৈকতের পাশেই রেখেছেন৷ তাদের কীভাবে সহায়তা করা হবে সেই সিদ্ধান্ত না নেয়া অবধি তাদেরকে সেখানে রাখা হবে৷ 

ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়রা সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের নৌকা তীরে ভিড়তে বাধা প্রদান করেছে৷ তাদের বক্তব্য হচ্ছে, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার মতো সংগতি আচেহ এর সম্প্রদায়গুলোর নেই৷ 

রোববারের নতুন আগতরা ছাড়াও দেশটিতে গত একমাসে বারোশর মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর৷ 

এদিকে, শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো জানিয়েছেন যে তার সন্দেহ সর্বশেষ শরণার্থী আগমনের পেছনে মানবপাচারকারীদের হাত রয়েছে৷ তার সরকার মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

উইডোডো জানিয়েছেন যে ইন্দোনেশিয়া শরণার্থীদেরকে সাময়িক সহায়তা প্রদান করবে৷ তবে স্থানীয়দের স্বার্থের বিষয়টিও তার বিবেচনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ 

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন থেকে বাঁচতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিক মনে করে না এবং তাদেরকে পদ্ধতিগতভাবে নানা সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখে৷

বাংলাদেশে বর্তমানে দশ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছেন যাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকেন

তবে শিবিরগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটায় এবং শিক্ষা ও কাজের সুযোগ তেমন একটা না থাকায় নিরাপদ জীবনের আশায় অনেক শরণার্থী পরিবারসহ অনিয়মিত সাগর পথে ইন্দোনেশিয়া বা মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷

এআই/এডিকে (এপি, এএফপি, রয়টার্স)