1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চলছে উদ্ধার কাজ

২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে নিহতের সংখ্যা ৪২০ ছাড়িয়ে গেছে৷ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপকূলের বাড়ি ও হোটেলে আছড়ে পড়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে অনেককে৷ নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে উদ্ধার কাজ৷

https://p.dw.com/p/3AaV8
ছবি: Getty Images/E. Wray

আনাক ক্রাকাতাও দ্বীপে শনিবার রাতে আঘাত হানে ভয়াবহ এই সুনামি৷ জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ৪২০ জনেরও বেশি মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ, ৫৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ সংস্থাটির আশংকা নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে৷ ধ্বংসস্তূপ সরালে সঠিক সংখ্যাটা জানা যাবে বলে ধারণা তাঁদের৷

সোমবার সকাল থেকে প্রিয়জনরা তাঁদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজতে উপকূলে ভিড় করেন৷ তাঁদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে৷ উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ৷ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছেন তাঁরা৷

কোনো ধরনের সতর্কতা সংকেত দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল সুমাত্রা ও জাভার সৈকতের ভবনগুলোতে৷ এ সময় অনেকেই ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়৷ কয়েকশ' ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে৷ তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানডেগলাং এলাকা৷ সেখানে জীবিতদের সহায়তা করছে হাজির হয়েছের ত্রাণকর্মী ও চিকিৎসকরা

কর্তৃপক্ষ বলছে, আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে হঠাৎ করেই এই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে, কোনো ধরনের ভূমিকম্প হয়নি৷ তাই আগে থেকে কোনো সতর্কতা সংকেত দেয়া সম্ভব হয়নি৷ ফলে কারো কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছিল না৷

আনাক ক্রাকাতাও একটি ছোট দ্বীপ, যার আবির্ভাব ১৮৮৩ সালে অগ্ন্যুৎপাতের ৫০ বছর পর৷ ১৮৮৩ সালে ঐ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ তবে এ বছরের জুন থেকেই আগ্নেয়গিরি থেকে অল্প অল্প করে ছাই বের হতে দেখা গেছে৷

চলতি বছরের অক্টোবরেই সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রাণ হারান দুই হাজার মানুষ৷ এছাড়া আগস্টে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হয় ৫০৫ জন৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য