ইন্দোনেশিয়ার ভ্রাম্যমাণ সিনেমা
ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রাম্যমাণ সিনেমা দূর গ্রাম-গঞ্জের মানুষদের রূপালি পর্দার মায়া দেখায়৷ গাঁয়ের মানুষদের কাছে তা যেন মেলা বিশেষ – আনন্দের মেলা৷
হলিউড যখন বাড়ির দোরগোড়ায়
বিয়েবাড়িতে গানবাজনার বদলে সিনেমা দেখালে কেমন হয়? দক্ষিণ ইন্দোনেশিয়ার বোগর শহরে সেটা কোনো সমস্যাই নয়৷ একটা ফিল্মই বা কেন? আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বাড়ির সামনে গাড়ির ওপর একাধিক স্ক্রিন বসিয়ে একসঙ্গে চার-পাঁচটা ছবি দেখাতেও কোনো অসুবিধে নেই – অতিথিরা যেটা হোক বেছে নিয়ে দেখবেন!
সেলোটেপ দিয়ে জোড়া দেয়া যায়
ফিল্মের রিল ছিঁড়ে গেছে! ওদিকে দর্শকরা বসে৷ কুছ পরোয়া নেই৷ সেলোটেপ লাগিয়ে জুড়ে নাও৷ তারপর রিলটা আবার প্রোজেক্টরে বসিয়ে শো শুরু করো...
ফিল্মের ফেরিওলা
ফিল্মের ফেরিওলারা গাড়িতে স্ক্রিন, প্রোজেক্টর, ছবির রিল ইত্যাদি বোঝাই করে শহর থেকে শহর, গ্রাম থেকে গ্রাম, পাড়া থেকে পাড়ায় গিয়ে বিয়েবাড়ি কিংবা মেলায় সারা রাত ধরে সিনেমা দেখায়৷ এক রাতের রোজগার প্রায় ১০০ ডলার৷ সে টাকা দেন গৃহকর্তা কিংবা মেলার উদ্যোক্তারা৷
বিনেপয়সায় সিনেমা
দর্শকদের জন্য বিনেপয়সায় সিনেমা৷ কাজেই ভেলভেটে মোড়া বসার আসন প্রত্যাশা করে লাভ নেই৷ কেউ উবু হয়ে বসে, কেউ হয়তো মাটিতেই বসে সিনেমা দেখছেন৷ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বড় সিনেমা হলে যেতে টিকিট কাটতে হয়৷ রাস্তার সিনেমায় পর্দার মায়াজগতের সঙ্গে যুক্ত হয় রাস্তার মায়াজগৎ...
হলিউডের হিট ছবি
রিলগুলো চিনতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য ছবির নাম লেখা আছে: জুরাসিক পার্ক, ব়্যাম্বো কিংবা এলিয়েন৷ ৩৫ মিলিমিটার সিনে ছবির রিল সব ক্যানে পোরা৷ ট্র্যাভেলিং সেলসম্যানের মতো এদেরও কষ্টের জীবন, তবে সে জীবনে কম অ্যাডভেঞ্চার অভিজ্ঞতা করেনি ফিল্মের এই রিলগুলো!
বলিউডও বাদ পড়ে না
পর্দায় বলিউডের ছবি
সিনেমার আসল খদ্দের
কচিকাঁচাদের চোখে সিনেমার মায়াকাজল লাগে খুব কম বয়সে৷ তারা যতটা না বোঝে, তার চাইতে বেশি নিজেদের মনের মতো যা-হোক একটা মানে করে নেয়৷ সিনেমা তো শুধু সিনেমা নয়, সিনেমা বড় হওয়ার অঙ্গ৷ নিজের ছোটবেলার কথা মনে করুন...