ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই
১০ মার্চ ২০১৯রোববার সকালে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়৷ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, নাইরোবিগামী ইটি ৩০২ ফ্লাইটটির ১৫৭ জন আরোহীর কেউই বেঁচে নেই৷ নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩২ জন কেনিয়ান, ১৭ জন ইথিওপিয়ান ও তিন জন চাইনিজ নাগরিক আছেন বলে রোববার বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে৷
ইথিওপিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটি বোলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়৷ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই উড়োজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ এরপর আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে বিশোফটু শহরের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে সেটি৷
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এরই মধ্যে শোক জানানো হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদের কার্যালয় এক টুইট বার্তায় লিখেছে, ‘‘ইথিওপিয়ার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেসব শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে, যাঁরা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ নিয়মিত যাত্রী বিমানটিতে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন৷''
উড্ডয়নের পরপর
মাত্র গতবছরই বিমানটি যুক্ত হয় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সে৷ উড্ডয়নের মাত্র ছয় মিনিট পরই বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়৷ তবে ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা জানা যায়নি৷ সুইডিশ ভিত্তিক বিমান ট্র্যাকিং কোম্পানি ফ্লাইটরাডার২৪ বলছে যে, ‘বিমানটির ভার্টিকাল স্পিড স্থিতিশীল ছিল না’৷
দ্বিতীয় বড় দুর্ঘটনা
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ম্যাক্স ধরনের বিমান দুর্ঘটনার এর চেয়ে বড় নজির আছে ইন্দোনেশিয়ায়৷ গত ১৩ অক্টোবরের সে দুর্ঘটনায় উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়৷ এতে ২৩৪ জন মারা যান৷
মার্কিন বিমান কোম্পানিটি ইথিওপিয়ার এই ঘটনায় ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছে৷
ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় এই এয়ারলাইনটি নিজেদের আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন বলে দাবি করে৷ এর আগে ২০১০ সালে এ এয়ারলাইনের আরেকটি বোয়িং বিমান বিস্ফোরিত হয়৷
জেডএ/ডিজি (ডিপিএ)