1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত কমপক্ষে ১০০

৬ এপ্রিল ২০০৯

সোমবার মধ্য ইটালির আবরুজ্জো অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/HROg
ভূমিকম্পে লাকুইলা শহর প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছেছবি: AP

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন যে, এ ঘটনায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে৷ সোমবার মধ্য ইউরোপীয় সময় রাত ৩টা ৩২ মিনিটে রোম শহরের ৯৫ কিলোমিটার দূরে লাকুইলায় এই ভূকম্পনের আঘাত সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়৷ফলে ইতালির ঐ প্রাচীন শহরটি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ রিক্টার স্কেলে ভূমিকম্পণের মাত্রা ছিল ৬.৩৷

শহরটির কয়েক হাজার ঐতিহ্যবাহী বাড়িঘর, গির্জা ও অন্যান্য দালানকোঠা ভেঙ্গে পড়েছে৷ হাজার হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে কারণ তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গিয়েছে বা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে৷ স্থানীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত চার শিশু পরে লাকুইলার একটি হাসপাতালে মারা যায়৷ আবরুজ্জোর রাজধানী শহর লাকুইলায় খোলা আকাশের নীচে বহু আহত মানুষের চিকিৎসা করতে হচ্ছে, কেননা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকায় সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকটি বন্ধ রাখতে হয়৷ এছাড়া, শহরটির অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে এবং বিধ্বস্ত বাড়িঘরের নীচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে৷ একটি ছাত্রাবাসও ধ্বসে যায় বলে প্রকাশ৷

বাড়িঘর ধ্বসে প্রাচীন শহরটির বেশিরভাগ রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বৈদ্যুতিক সংযোগ ও টেলিযোগাযোগও বন্ধ রয়েছে৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে রাস্তায় থাকা বেশকিছু যানবাহনও৷ মূল শহরকে ঘিরে গড়ে ওঠা আশপাশের বেশকিছু আধুনিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা৷ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলছে৷ ২০০২ সালের পর ইটালিতে এধরনের ভয়াবহ ভূমিকম্প এটাই প্রথম৷ তবে এই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা আগের চেয়ে অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বের্লুসকোনি ভূমিকম্পের এই ঘটনাকে জাতীয় দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন৷ এই বিপর্যয়ের কারণে তিনি তাঁর পরিকল্পিত রাশিয়া সফর বাতিল করে দেন৷ এই দুর্যোগের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

প্রতিবেদক: ফারজানা কবীর খান, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক