ইটালিতে গুহা-হোটেলে থাকার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা
২৯ মে ২০২০ইটালির দক্ষিণে পাহাড়ের উপর মাটেরা শহর তথাকথিত ‘সাসি' বা গুহার মধ্যে বসতির জন্য বিশ্ববিখ্যাত হয়ে উঠেছে৷ অতীতে গরিব চাষিরা সপরিবারে সেখানে বসবাস করতেন৷ এখন এমন গুহা সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷
এমন বসতি সংরক্ষণ করতে ডানিয়েলে কিলগ্রেন ১৮টি গুহার সমন্বয়ে বিলাসবহুল এক হোটেল গড়ে তুলেছেন৷ হোটেলের প্রাতরাশের ঘরটি এককালে গুহার নিজস্ব গির্জা ছিল৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘সংরক্ষণের কাজ আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত জরুরি৷ সবকিছু অক্ষত রাখাই ছিল উদ্দেশ্য৷ এমনকি মেঝে না থাকলে আমরা মৌলিক উপাদান দিয়ে তা মেরামত করেছি৷’’
দরজা ও ছোট জানালা দিয়ে ভিতরে আলো প্রবেশ করে৷ দেওয়াল, ছাদ ও মেঝে নরম বেলেপাথর ও চুনাপাথর দিয়ে তৈরি৷ হাতে গোনা আসবাবপত্রগুলিও অতীতের বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া৷ প্রতিটি ঘরে ডিজাইনার বাথটবই একমাত্র ব্যতিক্রম৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘এখানকার বাথরুমই আমাদের অন্যতম বড় কুকর্ম৷ গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত গুহার মধ্যে পানির সরবরাহ ছিল না৷ কিন্তু হোটেলে পানি ও বাথরুমের প্রয়োজন তো থাকেই৷ যেখানে সম্ভব আমরা গুহার মধ্যে ছড়ানো পুরানো আমলের আধারগুলিকে বেসিন হিসেবে ব্যবহার করেছি৷’’
পাশের গুহাগুলিরও সংস্কার করতে চান ডানিয়েলে৷ তবে সব গুহাকে হোটেলের ঘর হিসেবে কাজে লাগাতে চান না তিনি৷ সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে সেগুলি সুরক্ষিত রাখাই তাঁর উদ্দেশ্য৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘আমার আশা, অদূর ভবিষ্যতে সুন্দর সব প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগীরা আসরে নামবে৷ তারা হয়তো আমাদের থেকেও ভালো কাজ করবে৷ কারণ ইটালিতে প্রায় ২,০০০ পরিত্যক্ত গ্রাম রয়েছে৷ সেখানে পর্যটনের ব্যবস্থা করে অর্থনীতি চাঙ্গা করে তোলা সম্ভব৷ তরুণ প্রজন্ম, এমনকি বয়স্করাও সেই সব বিচ্ছিন্ন জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছে৷’’
গুহার মধ্যে থাকার অভিনব অভিজ্ঞতার আকর্ষণে এমনকি শীতকালেও পর্যটকরা মাটেরায় আসেন৷ তখন শহরের আদি রূপ আরও স্পষ্ট হয়ে যায়৷
মিশায়েল/গেসনার/এসবি