1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইকুয়াটোরিয়াল গিনিতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু

৯ মার্চ ২০২১

রোববার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গিনির শহর বাটা। মঙ্গলবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

https://p.dw.com/p/3qNJn
গিনিতে বিস্ফোরণ
ছবি: TVGE/AP Photo/picture alliance

মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ইকুয়াটোরিয়াল গিনিতে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। আহত ৬১৫ জন। তার মধ্যে শতাধিক ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

মধ্য আফ্রিকার সব চেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ শহর বাটা। ইকুয়াটোরিয়াল গিনিরও সবচেয়ে বড় শহর এটি। উপকূলবর্তী এই শহরে প্রচুর তেল মজুত আছে। অর্থনীতিও তেলের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে। রোববার বেলা ১টা নাগাদ সেখানে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর পরপর চারবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাটা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বড় বড় বাড়ি, লোহার স্ট্রাকচার। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় শহরের একটি বড় অংশ। এর আগে বৈরুতে ঠিক এভাবেই বিস্ফোরণ হয়েছিল।

তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, শহরের ভিতরেই অবস্থিত একটি সেনা ছাউনিতে প্রচুর পরিমাণ ডিনামাইট রাখা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। টেলিভিশনে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। স্থানীয় মানুষ উদ্ধারে হাত লাগান। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক শিশু, নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সেই সংখ্যা ৯৮ হয়ে যায়। এখনো ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন অনেকে। 

দেশের প্রশাসন জানিয়েছে, যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাদের সকলকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। তবে বিস্ফোরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেনা ছাউনিটির। বহু সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)