1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো’র ১০ বছর - সাফল্য, ব্যর্থতার খতিয়ান

২৭ ডিসেম্বর ২০১১

দেখতে দেখতে ১০ বছর পার করে দিচ্ছে ইউরোপের ১৭টি দেশের একক মুদ্রা ‘ইউরো’৷ ২০০২ সালের প্রথম দিন থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়েছিল৷ ইউরো চালু করাটা কী ভাল হয়েছে, নাকি আগের মুদ্রাই ভাল ছিল - এই নিয়ে এখন চলছে আলোচনা৷

https://p.dw.com/p/13Zua
ইউরোছবি: picture-alliance/dpa

সাধারণ মানুষের ভাবনা

এক কথায় বলতে গেলে, তাঁরা মনে করেন ইউরো তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তবে এই অভিযোগ নিয়ে প্রথম দিকে ততটা উচ্চবাচ্য না করলেও, এখন যে সংকট চলছে সে কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা বিরক্ত বলা যায়৷ এই মুহূর্তে এমন অনেককেই পাওয়া যাবে, যাঁরা আবার আগের মুদ্রায় ফিরে যেতে চাইবেন৷ তবে বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো কিন্তু খুশি৷ কেননা আগে বিভিন্ন মুদ্রা বিনিময় করতে যে টাকাটা খরচ হতো এখন সেটা হচ্ছে না৷

ইতিহাস

ইউরোপকে সারা বিশ্বে একটা একক শক্তি হিসেবে পরিচিত করানো এবং সাধারণ জনগণের যে যেদেশেরই হোক না কেন নিজেকে একজন ইউরোপীয় হিসেবে ভাবতে শেখানো - এমন লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয়েছিল ইউরো৷ অর্থাৎ একজন জার্মান আর একজন ফরাসি - দুজনই যদি ইউরো ব্যবহার করেন তাহলে তাঁরা নিজেদের একটা একক সত্তা ভাববেন, এমনটা মনে করা হয়েছিল৷ ইউরোর শুরুর দিকে হয়তো সে উদ্দেশ্য পূরণও হয়েছে৷ কিন্তু ঐ যে কথায় বলে, খারাপ সময়ে মানুষের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে, ইউরোর ক্ষেত্রেও হয়েছে সেটা৷ করদাতাদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে গ্রিসকে সাহায্য করতে হওয়ায় জার্মানরা সহ অন্যান্যরা কিছুটা বিরক্ত৷ এছাড়া ইউরো সংকট মোকাবিলা প্রশ্নে জার্মানি নেতার আসনে থাকায় ফ্রেঞ্চরা নিজেদের প্রভাব নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত৷

ইউরোর বাইরের দেশ

ইউরোপের মধ্যে থেকেও অনেক দেশ ইউরোতে যায়নি৷ যেমন ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রিটেন৷ সেখানকার জনগণ এখন বেশ স্বস্তিতে৷ কেননা ইউরো সংকট তাদের জীবনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না৷ একইরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সুইডিশ আর ডেনিশদের মধ্যেও৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য