1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের দেশগুলোতে নাগরিকত্ব বাতিলের নিয়ম

৬ মার্চ ২০১৯

সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিরা এখন কোণঠাসা৷ তাই অনেক আইএস যোদ্ধা ফিরতে চান নিজ দেশে৷ জার্মানি আইএস যোদ্ধাদের নাগরিকত্ব বাতিলের উপায় খুঁজছে৷

https://p.dw.com/p/3EWxI
verschiedene Reisepässe Reisepass
ছবি: picture-alliance/KEYSTONE/G. Bally

ইউরোপের দেশগুলোতে কেন ও কীভাবে বাতিল হয় নাগরিকত্ব?

স্পেন: স্পেনের সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকের অনুমতি ছাড়া কারো নাগরিকত্ব বাতিল করা যায় না৷ তবে আইনের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী, দেশটির কোনো নাগরিক যদি ১৮ বছর বয়সের আগে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তাহলে তিন বছরের মধ্যে তিনি স্পেনের নাগরিকত্ব হারাবেন, যদি তিনি এই নাগরিকত্ব রাখার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ না করেন৷

ফ্রান্স: রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য না থাকা বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেননি, এমন ব্যক্তিকে দেয়া নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে দেশটির সরকার৷

পোল্যান্ড: স্পেনের মতোই, পোল্যান্ডে জন্ম নেয়া কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব সরকার চাইলেই কেড়ে নিতে পারে না৷ তবে কোনো নাগরিক যদি নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করে তবেই তা বিবেচনায় নেয়া হয়৷ এ বিবেচনা আবার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে৷ 

ইটালি: দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে যে-কোনো ব্যক্তি ইটালির নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারে৷ তবে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো দেশের পক্ষ হয়ে ইটালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দেশের আইন অনুযায়ী তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করা যেতে পারে৷

Infografik Verlust der Staatsbürgerschaft EN

নেদারল্যান্ডস: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে নেদারল্যান্ডস সরকার৷ এদিকে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলে এবং অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও সে ব্যক্তির নাগরিকত্ব বতিল করতে পারে সরকার৷

এদিকে বেলজিয়াম ও ডেনমার্ক, স্পেন, ও সুইডেন দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার ফলে নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি দেশটির বিদেশে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের বেলায় প্রযোজ্য হবে৷

বিদেশে অনেকদিন বসবাস করলে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় ইউরোপের নয়টি দেশ৷ তবে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্পেন ও সুইডেনে শুধুমাত্র বিদেশে জন্ম নেয়া ঐসব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে ধরা হয়৷

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপের ১৫টি দেশ রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য না থাকার অভিযোগে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে৷ আনুগত্য না থাকা বলতে বোঝানো হচ্ছে, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ, সংবিধান ও জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিরোধী আচরণ, কথায় বা আচরণে অনানুগত্য পোষণ, অথবা জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো আচরণ৷

এলিজাবেথ শুমাখার/আরআর 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য