1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারি অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে এখনো দ্বিধায় জার্মানি

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় না করে ইউক্রেনকে ব্যাটেল ট্যাংক পাঠাতে এখনো নারাজ৷ রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাত এড়ানো জরুরি বলে তিনি মনে করছেন৷

https://p.dw.com/p/4H2eM
Deutschland | Berlin | Enthüllung Wachsfigur Bundeskanzler Scholz
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (ফাইল ফটো)ছবি: Thomas Bartilla/Future Image/IMAGO

দেশে-বিদেশে প্রবল চাপ সত্ত্বেও ইউক্রেনকে ব্যাটল ট্যাংক সরবরাহের প্রশ্নে এখনো অবিচল রয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ এমন পদক্ষেপ জার্মানির জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ৷ ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে ‘ঠাণ্ডা মাথায়' পদক্ষেপ নেবার পক্ষে সওয়াল করছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ জার্মানির এক বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শলৎস এ ক্ষেত্রে ‘একলা চলো রে' নীতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

বর্তমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর শলৎস আবার মনে করিয়ে দেন, যে জার্মানি ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে যে সব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, রুশ হানাদার  বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বর্তমান সাফল্যের পেছনে সেগুলিরও বড় ভূমিকা রয়েছে৷ বিশেষ করে আকাশসীমা ও ট্যাংকের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ইউক্রেনকে শক্তিশালী করে তুলেছে৷ জার্মানির সরবরাহ করা আর্টিলারি দিয়েও দূরের লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলা করা সহজ হচ্ছে৷ তাই এমন সামরিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷

কিন্তু ইউক্রেন এবার জার্মানির কাছ থেকে ব্যাটেল ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান চাওয়ার ফলে জটিলতা দেখা দিচ্ছে৷ রুশ বাহিনীর দখল থেকে এলাকা উদ্ধারের পর সেখানকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এমন সরঞ্জাম জরুরি বলে কিয়েভ দাবি করছে৷ এখনো পর্যন্ত ন্যাটো-ভুক্ত কোনো দেশ ইউক্রেনকে এখনো পশ্চিমা বিশ্বে তৈরি এমন ট্যাংক সরবরাহ করে নি৷ কারণ  এমন ট্যাংক শত্রুর বিরুদ্ধে সরাসরি সংগ্রামের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ ‘আত্মরক্ষামূলক' সামরিক সহায়তার সীমা অতিক্রম করে ইউক্রেনের হাতে ‘আক্রমণাত্মক' সরঞ্জাম কুলে দিতে দ্বিধা করছে অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব৷ ফলে জার্মানির একক পদক্ষেপ একেবারেই কাম্য নয় বলে মনে করেন ওলাফ শলৎস৷ তিনি এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

শলৎসের এই অবস্থানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন সরকারের শরিক সবুজ দলের নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক৷ তিনিও সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনকে ব্যাটেল ট্যাংক পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ এ প্রসঙ্গে বেয়ারবক মনে করিয়ে দেন, যে জার্মানি এ যাবৎ অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করে এসেছে৷ তবে তিনি সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আর বিলম্ব না করার জন্য জোর দিচ্ছেন৷

রুশ বাহিনীর হাত থেকে অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করার পর সেখানে নিপীড়নের চিহ্ন ও গণকবর আবিষ্কারের পর জার্মানি অনেক মহল অবিলম্বে ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্র দেবার পক্ষে সওয়াল করছে৷ এমনকি সরকারের তৃতীয় শরিক এফডিপি দলও এ ক্ষেত্রে অন্যান্য ন্যাটো সহযোগীদের জন্য অপেক্ষা না করে ‘সাহসি' পদক্ষেপের দাবি করছে৷ দলের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত এক নেতা ইউক্রেনের আত্মরক্ষা ও অধিকৃত এলাকার উপর আবার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সামরিক অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইনসিদ্ধ বলে বর্ণনা করে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে জার্মানির নেতৃত্বের দাবি করেছেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)