ইইউতে তুরস্কের হিস্যা বাড়াতে জার্মানির সহায়তার আশ্বাস
১০ অক্টোবর ২০১০বার্লিনে ম্যার্কেল-এর্দোয়ান বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে শনিবার বার্লিনে বৈঠক করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ বৈঠকে দুই শীর্ষ নেতা তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানদের জার্মানির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে আরো উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মত দেন৷ বর্তমানে জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কির সংখ্যা ২৫ লাখ৷ তুরস্কের সঙ্গে এক চুক্তির মাধ্যমে ‘গেস্টআর্বাইটার' মানে অতিথি শ্রমিক হিসেবে জার্মানিতে এসেছিলেন এই তুর্কিরা৷ আগামী বছরের অক্টোবরে সেই চুক্তির পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হবে৷ তুরস্ককে সঙ্গে নিয়ে এই দিনটিকে বড় আকারে পালনের পরিকল্পনা করছে জার্মানি৷ সেইসঙ্গে সমাজের মূলধারায় জার্মানদের সম্পৃক্ত করতে নানা উদ্যোগে নেয়া হবে এই দিনে৷ এই প্রসঙ্গে ম্যার্কেল বলেন, সম্পৃক্ততার প্রশ্নে এখনো অনেক জটিলতা রয়েছে যা আমরা সমাধান করতে চাই৷
জার্মান সমাজে বিদেশিদের সম্পৃক্ত করা নিয়ে বিতর্ক
শনিবার এই বিতর্কে আরো খানিকটা ঘি ঢাললেন বাভারিয়ার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা হোর্স্ট সিহোফার৷ ফোকাস ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তুরস্ক এবং আরব দেশগুলো থেকে জার্মানির আর কোন অভিবাসীর প্রয়োজন নেই৷ এসব দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের জার্মান সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা কঠিন, এমন মত সিহোফার এর৷
এর আগে, মুসলিম অভিবাসীদের নিয়ে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের নেতিবাচক মন্তব্যও বিতর্কের সৃষ্টি করে৷ তবে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ সম্প্রতি এক ভাষণে জানিয়েছেন, ইসলামও জার্মানির অংশ৷
তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ
তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘বিশেষ সুবিধাযুক্ত সহযোগী' করতে চেষ্টা চালাচ্ছে জার্মানি৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তুরস্ক-সাইপ্রাস সংকট নিরসন জরুরি৷ সেই দিকটাতেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ এজন্য প্রয়োজনে জানুয়ারিতে সাইপ্রাস সফরেও যেতে পারেন তিনি৷ বলাবাহুল্য, আংকারা কিন্তু ইইউ'র পূর্ণ সদস্যপদের জন্যই লড়ে যাচ্ছে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়