‘আয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করতে চলেছে রেয়াল মাদ্রিদ’
২৩ জুন ২০১১ফুটবল যে আজ আর শুধু খেলা নয়, টাকা কামানোর বিশাল যন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই৷ বড় বড় শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মতো ফুটবল ক্লাবগুলিকেও আজকাল লাভ-লোকসানের দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা হচ্ছে৷ যেমন স্পেনের রেয়াল মাদ্রিদ ক্লাব৷ এবার তাদের আয় ও মুনাফা নাকি রেকর্ড মাত্রা ছুঁতে চলেছে৷
স্পেনের ফুটবল সংক্রান্ত দৈনিক ‘মার্কা' জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করা হবে৷ তবে তার আগেই ‘ভিতরের খবর' পৌঁছে গেছে এই দৈনিকের কাছে৷ আর পৌঁছবে নাই বা কেন? রেয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেস স্বয়ং ‘মার্কা'র বেশ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ জানা গেছে, শুধু গত মরশুমেই ৪৪ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো আয় হয়েছে ক্লাবের – যা এক বিশ্বরেকর্ড৷ ‘মার্কা' আরও জানিয়েছে, যে কর দেওয়ার আগে ক্লাবের মুনাফা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ইউরো৷ স্পেনের কোনো ক্লাব কখনো এত বড় অঙ্কের মুনাফা করতে পারে নি৷ তবে গত কয়েক বছর ধরে রেয়াল আয়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে চলেছে৷
এই সাফল্যের রহস্য কী? ক্লাবের স্মারক বিক্রির হার বেশ বেড়ে গেছে – বিশেষ করে ক্লাবের জার্সি কিনছেন অসংখ্য মানুষ৷ সিজন টিকিট বিক্রিও মন্দও হয় নি৷ স্টেডিয়াম ঘুরে দেখানোর জন্যও আলাদা টিকিট বিক্রি করে রেয়াল৷ চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকেও রেয়াল আগের তুলনায় বেশি আয় করেছে৷ ২০০৩ সালের পর এই প্রথম তারা সেমি ফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছতে পারায় এই বাড়তি আয় হয়েছে৷ এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন কোচ জোসে মুরিনিয়োকে৷ কোচ হিসেবে তাঁর আয়ও বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিয়েছে৷ মুরিনিয়ো'র তত্ত্বাবধানে রেয়াল কিংস কাপ জিতেছে৷ তবে ‘লা লিগা' ও চ্যাম্পিয়নস লিগ'এ বার্সেলোনা রেয়ালকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ায় মুরিনিয়ো'র মনে বেশ দুঃখ রয়ে গেছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ