‘আশিতে আসিও না’
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০খবরগুলোর একটির সঙ্গে অপরটির এমনিতে কোনো যোগাযোগ নেই৷ আবার সবই এ'সপ্তাহের খবর৷ মার্কিন চিত্র পরিচালক আর্থার পেন মারা গেলেন ৮৮ বছর বয়সে৷ বিশেষ করে ‘‘বনি এ্যান্ড ক্লাইড'' ছবির জন্যই আমরা তাঁকে চিরকাল মনে রাখব৷ সঙ্গে রাখা যেতে পারে ‘‘দ্য মিরাকল ওয়ার্কার'', ‘‘এ্যালিসেস রেস্টরান্ট'' এবং ‘‘লিটল বিগ ম্যান ''৷
অন্যত্র দেখছি, মঙ্গলবার ৮১-তে পড়লেন লতা মঙ্গেশকর, যাঁর নাম করলে আর পরিচয় দিতে লাগে না৷ সাত দশক ধরে এই কোকিলকণ্ঠী উপমহাদেশের মানুষদের যাদু করে রেখেছেন৷ মধুবালা থেকে কাজল অবধি শত নায়িকাকে প্লেব্যাকে তাঁর ভয়েস দিয়েছেন৷ এক হাজার বলিউড ফিল্মে লতার গলা এবং গান শুনতে পাবেন! ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন, তার মধ্যে অবশ্যই বাংলায়৷ লতা এবং তাঁর ছোটবোন আশা ভোঁসলে না থাকলে বলিউডের ইতিহাসই অন্য রকম হতো বলে আমার ধারণা৷
ওদিকে জেমস বন্ড খ্যাত স্কটিশ অভিনেতা সন কনারি এডিনবরা চলচ্চিত্র উৎসবে কেঁদেই ফেললেন! সেখানে তাঁর ১৯৭৫ সালের ছবি ‘‘দ্য ম্যান হু উড বি কিং'' আবার দেখানো হয়৷ রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর একটি ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করে ছবিটিতে কনারির সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা মাইকেল কেইন, ক্যানাডিয়ান অভিনেতা ক্রিস্টোফার প্লামার এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিনেতা সাঈদ জাফরি৷ কনারি আশিতে পা দিচ্ছেন৷ সাঈদ জাফরি আজ ৮১, তবুও স্টেজে ওঠেন কনারির সাহায্যে৷ মাইকোল কেইন এখন মাত্র ৭৭, এডিনবরা আসতে পারেননি, তবে মেসেজ পাঠিয়েছেন৷ আর অন্যত্র বলেছেন, এখনও তাঁর হাতে অনেক ছবি৷ তবে আশিতে পড়ে রিটায়ার করার কথা ভাববেন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক