‘আমলারাই দিনবদলের অন্তরায়’ - ড. মিজানুর রহমান
৮ জানুয়ারি ২০১১আমলাদের শনাক্ত করে তাদের ‘‘সরিয়ে ফেলার'' কথা বলেছেন মিজানুর রহমান৷ অন্যদিকে রাজনীতিকদেরও বেকসুর খালাস দেননি৷ রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের সমালোচনা করেছেন৷ বলেছেন, যে গরিব দেশে মানুষ দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পায় না, সেখানে রাজনীতিকরা দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হন৷ এ'ধরণের রাজনীতিকদের রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা, তা' নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান৷ এই হল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিবরণ৷
এ'সব খুব নতুন না হলেও, সমকালের প্রতিবেদনে দেখা গেল মিজানুর রহমানের অপর একটি মন্তব্য৷ তিনি অপরাধ জগতের সঙ্গে মানবাধিকার গুলিয়ে না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন৷ অপরাধ হল আইনের লঙ্ঘন৷ আর পুলিশ এবং আদালতের কাছে গিয়ে ন্যায়বিচার না পেয়ে ফিরে আসাটা হল মানবাধিকার ভঙ্গ৷
ব্যাপারটা ভেবে দেখার মতো৷ কিন্তু মানবাধিকারের চেয়েও আপাতত মানুষের বড় চিন্তা তো চালের দাম৷ আমন উৎপাদন ভালো হয়েছে, সরকারের ভাণ্ডারে চাল ও গমের মজুদ আট লাখ টনের বেশি৷ তবুও বাজারে নতুন-পুরনো দুই চালের দামই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে৷ এ'তে নাকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত - লিখছে সমকাল৷ বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তদন্তে বেরিয়েছে যে, উত্তরের আটটি অটো রাইস মিল নাকি সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছে৷
ওদিকে সংকট তো শুধু চালে নয়, সংকট নিত্যপণ্যের৷ ব্যবসায়ীরা আমদানি কমানোর ফলে চিনি, গম, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, পাঁচটি নিত্যপণ্যই সংকটে পড়েছে - লিখছে জনকণ্ঠ৷ আর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে সরকার নিজেই চাল আমদানি করছেন৷ সমকাল যোগ করছে: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নাকি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান যে, সরকার চালের দাম নিয়ে বিব্রত৷ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কারণে সরকারকে নাকি দেড়গুণ দাম বেশি দিয়ে চাল আমদানি করতে হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই