1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো মহাকাশ ঘুরে এলেন চার্লস সিমোনি

১১ এপ্রিল ২০০৯

যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস সিমোনি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি পর্যটক হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো সম্প্রতি মহাকাশ ঘুরে এলেন৷ বিল গেটস-এর মাইক্রোসফট কোম্পানির পেছনে যে ক’জনের মেধা নিয়োজিত ছিল, সিমোনি তাদেরই একজন৷

https://p.dw.com/p/HUtT
মহাকাশ পর্যটক চার্লস সিমোনি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর তৈরি করা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় সিমোনির নাম স্থান না পেলেও, তিনি ১০ দিনের এ মহাকাশ ভ্রমণের জন্য ৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন৷ ৬০ বছর বয়সী সিমোনির সাথে ছিলেন পেশাদার মহাকাশচারী মার্কিন নাগরিক মিচেল ফিংকে এবং রাশিয়ার নাগরিক ইউরি লংকাকভ৷ তাঁরা ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার গ্রিনউইচ মিনটাইম ১১ টা ৪৯ মিনিটে যাত্রা শুরু করেন৷ সিমোনি কাজাখস্তানের মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বোইকনুর থেকে রাশিয়ান সয়ুজ রকেটে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন৷ এই অভিযানের জন্য ব্যবহৃত উৎক্ষেপণ স্থান থেকেই ১৯৬১ সালে রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মহাকাশ যাত্রা করেছিলেন৷ মহাকাশ যান সয়ুজের গতি ছিল ঘন্টায় ২২,০০০ কিলোমিটার৷

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে তাঁদের ৭ এপ্রিল পৃথিবীতে অবতরণের কথা থাকলেও অবতরণস্থল স্যাঁতস্যাঁতে থাকায় একদিন পরে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন৷ তাঁরা মহাকাশ ভ্রমণ শেষে ৮ এপ্রিল সফলভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করেন৷ বুধবার গ্রিনউইচ মিনটাইম ৭ টা ১৫ মিনিটে নিরাপদে ভূমিতে নেমে আসেন৷ এর আগে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে সিমোনি প্রথমবার মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন৷ ঐ সময় তিনি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ধনী ব্যক্তিদের সাথে দলগতভাবে মহাকাশ ভ্রমণ করেন৷ উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়জন মহাকাশ পর্যটক আইএসএস ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন৷

NASA Soyuz Raumschiff Raumfahrzeug
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে সয়ুজ উপগ্রহ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

এই মহাকাশ অভিযানের পর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা'র সাথে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে রসকসমস প্রধান আনাতোলি পারমিনভ তাদের ১৮তম এই মহাকাশ অভিযানকে বেশ ফলপ্রসূ এবং উৎসাহব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, এই অভিযানে নির্ধারিত সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে৷ পারমিনভ বলেন, এই অভিযান মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সহযোগিতামূলক যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে৷

তবে পারমিনভ এই সময় নিশ্চিত করে বলেছেন, যে সিমোনিই তাদের সংস্থার সর্বশেষ মহাকাশ পর্যটক৷ রাশিয়া কি এরপর আর কোন পর্যটকের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের আয়োজন করবে না – এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও তা সত্য৷ ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযানে শুধু তারাই অংশ গ্রহণ করবে যারা আইএসএস-এতে কাজের জন্য যাবে৷ পারমিনভ জানান, মহাকাশ স্টেশনে শীঘ্রই দু'টি নতুন গবেষণাগার চালু করা হচ্ছে৷ একটি হচ্ছে জাপানের 'কিবো' এবং অন্যটি হচ্ছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার 'কলাম্বাস' মডিউল৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক