আবর্জনার স্তূপে জীবনযাপন
বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ৷ এটি কম্বোডিয়ার অ্যাঙ্কর ওয়াট মন্দির থেকে খুব বেশি দূরে নয়৷ এখান থেকে কিছু মানুষ উচ্ছিষ্ট খাবার সংগ্রহ করে জীবনযাপন করে৷
প্রকৃত দারিদ্র্য
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ কম্বোডিয়া৷ সেদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় মাসে ৩২ ডলারেরও কম৷ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ‘অ্যাংলং পাই’ আর্বজনা স্তূপ থেকে ১১ বছরের সোবার্ন তার পোষা শুকরের জন্য খাবার সংগ্রহ করছে৷ প্রতিদিন সকালে উঠে সে এই কাজ করে, বিকেলে স্কুলে যায়৷
নিত্যদিনের যুদ্ধ
আবর্জনা ভর্তি ট্রাকটি আসার সাথে সাথে মানুষ হামলে পড়ে উচ্ছিষ্ট খাদ্যের আশায়৷ সেই সাথে যদি কোনো প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই৷ এই মানুষগুলো এখানেই থাকে এবং এখানেই কাজ করে৷ এর আয়তন ১১টা ফুটবল মাঠের সমান৷
কাজে বিরতি
সিয়েম রিপ শহরে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের বাস৷ আছে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷ কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনার সুষ্ঠু বন্দোবস্ত করার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা৷ পুরো বছর ধরে এখানে আবর্জনা জমতেই থাকে৷ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কাজ করার ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিচ্ছে এই বালক, অপেক্ষা পরের ট্রাক আসার৷
পর্যটন কেন্দ্রের কাছে
রাজধানী নমপেন থেকে অ্যাংলং পাই এর দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার এবং এটি কম্বোডিয়ার অন্যতম পর্যটক স্থান অ্যাঙ্কর ওয়াট মন্দিরের খুব কাছে৷ প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক এই শহরে আসেন৷ কেউ কেউ এই আবর্জনার স্তূপও দেখতে আসেন৷
বাঁচার লড়াই
অনেক শিশু যারা এখানে থাকে, স্কুলে যায় না৷ তাদের কাছে এটা প্রতিদিনের বাঁচার লড়াই৷ তারা সবচেয়ে বেশি খুশি হয় আর্বজনায় খাবারের সন্ধান পেলে৷
রাতের শিফট
সন্ধ্যায় যখন শহরের তাপমাত্রা কমে আসে তখন ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে কাজে নামে অনেকে৷
রাতের খাবার
এখানকার অধিবাসীরা পথভ্রষ্ট প্রাণীদের ধরে রাতের বেলায় রোস্ট রান্না করে, যা তাদের পরদিন সকালে উঠে কাজ করার জন্য পুরোদমে শক্তি যোগায়৷