1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান সংকটে জাতিসংঘের উদ্বেগ

২৪ নভেম্বর ২০২১

শীত আসতে থাকায় আফগানিস্তানে মানবিক সংকট আরো ঘনিয়ে আসছে৷ সময়ের বিপরীতে দৌড়েও পরিস্থিতি সামলা দিতে পারছেন না মানবিক সহায়তাকর্মীরা৷

https://p.dw.com/p/43QCA
Staatliche Verteilung von Brot an die Bevölkerung in Kabul
ছবি: Reuters/O. Sobhani

একদিকে মানুষের খাদ্যের অভাব অন্যদিকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের গতি কমতে থাকায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা ইউনিসেফ৷ তাদের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সামান্থা মর্ট ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, দেশটির দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের এখন সহায়তা প্রয়োজন৷ এই বিরাট জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকা সংকটে পরিণত হচ্ছে৷

বিশেষ করে শীত আসতে থাকায় ইউনিসেফসহ মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে এখন রীতিমত সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ইউনিসেফ সহায়তা নিয়ে আসছে, পাকিস্তানের সীমান্ত দিয়েও সহায়তা আসছে, কিন্তু প্রতিদিনই ঠাণ্ডা বেড়ে চলছে৷''

এরই মধ্যে পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বরফ পড়তে শুরু করেছে৷ কিছু কিছু জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আগে মানুষকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান সামান্থা৷

‘আফগানিস্তান মানবিক দুর্যোগের মুখে' রয়েছে বলে গত সপ্তাহে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূতও৷ তিনি জানান, প্রায় চার কোটি জনগোষ্ঠীর দেশটির ২২ শতাংশ মানুষ প্রায় দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে৷ আরো ৩৬ শতাংশ প্রচণ্ড খাদ্যা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন, যাদের প্রয়োজনীয় খাবার কেনার সামর্থ্য নেই৷

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও এর প্রতিনিধি রিচার্ড ট্রেনচার্ড ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে৷ গ্রাম ছাড়িয়ে প্রতি ১০ শহরের নয়টিতেই খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে৷ তিনি মনে করেন, দেশটিতে কাজ করা মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো আগামী বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আফগানিস্তানের জন্য ৪০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের আহ্বান জানাবে৷ এর আগে কোন দেশের মানবিক সহায়তায় এত বড় অঙ্কের অর্থের আবেদন জানানোর উদাহরণ নেই৷

গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের অর্থনীতি ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে৷ দেশটির ধ্বসে পড়া অর্থনীতি উগ্রবাদের শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ৷

সউ-ই ফান ব্রুনেরসুম/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান