1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে এক বছর ধরে মেয়েরা স্কুলে যায় না

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

এক বছর আগে আফগানিস্তানে ছেলেদের স্কুল খুলেছিল, কিন্তু মেয়েদের হাইস্কুল নয়। জাতিসংঘের মতে, লজ্জার ঘটনা।

https://p.dw.com/p/4H2Xj
তালেবান বলছে, তারা স্কুল খোলার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু এখনো তার ঘোষণা হয়নি।
তালেবান বলছে, তারা স্কুল খোলার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু এখনো তার ঘোষণা হয়নি। ছবি: AFP

এক বছর হয়ে গেছে মেয়েদের হাইস্কুল খোলেনি আফগানিস্তানে। ইউনাইটেড মিশনস ইন আফগানিস্তান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিশ্বের কোনো দেশে এরকম হয় না। তালেবান কর্তৃপক্ষ এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

জাতিসংঘের দাবি, অবিলম্বে মেয়েদের হাইস্কুল খুলতে হবে। বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, এক বছর ধরে মেয়েদের হাইস্কুল বন্ধ। তালেবানঅনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা তা রাখতে পারেনি। এই ঘটনা খুবই দুঃখের, লজ্জার এবং তা অনায়াসেই এড়ানো যেত।

তালেবান কি মেয়েদের স্কুলে যেতে দেবে?

গত বছর ক্ষমতায় আসার পর তালেবান মেয়েদেরমাধ্যমিক স্কুল বন্ধ করে দেয়। তবে গত কয়েক সপ্তাহে চুপচাপ কয়েকটি স্কুল খুলেছিল।

এএফপি জানাচ্ছে, মেয়েদের হিজাব পরে স্কুলে যেতে দেখা যাচ্ছে। যদিও কয়েকটি এলাকায় তালেবান জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

স্থানীয় মিডিয়ায় মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ফুটেজ আসার পর সেই স্কুলগুলিকে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পূর্ব পাকতিয়াতে মেয়েরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, সেই ফুটেজও সামনে এসেছে।

তালেবান মেয়েদের স্কুলে যেতে অনুমতি দেয় কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করছেন আফগানরা। 

এর আগের দুই দশকে আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেয়া হতো, তাদের চাকরি করতে দেয়া হতো।

বেশ কিছু তালেবান নেতা জানিয়েছিলেন, মেয়েদের স্কুলে যেতে না দেয়ার বিষয়টি সাময়িক। কিন্তু এখনো সরকারি নীতিতে কোনো বদল ঘটেনি। তারা স্কুল খোলার কোনো সময়সীমাও দেয়নি।

কট্টরপন্থি তালেবানরা স্কুল খোলার জন্য বেশ কিছু অজুহাত দিয়েছে। তারা বলেছে, স্কুলের পাঠক্রম ঢেলে সাজানোর জন্য তাদের অর্থ চাই।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস রোববার টুইট করে বলেছেন, একটা বছর কেটে গেল। জ্ঞান অর্জনের ও পড়ার সুযোগ নষ্টের এক বছর। এই সময়টা আর ফিরে আসবে না।  মেয়েদের স্কুলে যেতে দিতেই হবে। তালেবানদের সেই ব্যবস্থা করা উচিত।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)