1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানকে ঘিরে আধুনিক ‘সিল্ক রুট’ গড়ার উদ্যোগ

১ অক্টোবর ২০১১

নতুন সিল্ক রুট৷ তার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে৷ উদ্যোগ জার্মানির৷ মূল উদ্দেশ্য আফগানিস্তানের বাণিজ্যের উন্নয়নের চেষ্টা করা৷ এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছে চীন, ভারত, পাকিস্তান সহ অনেক দেশ৷

https://p.dw.com/p/12kDT
Seide aus Como, Italien *** *** Autor: Vanessa Johnston 24.04.2010, Como, Italien
বাহারি রেশম কাপড়ছবি: DW

প্রাচ্যের মহার্ঘ রেশম বা সিল্ককে পাশ্চাত্যের বাজারে হাজির করার সেই সুপ্রাচীন বাণিজ্যপথ বা সিল্ক রুট তো কবেই উধাও হয়ে গেছে৷ কিন্তু রেখে গেছে তার উজ্জ্বল স্মৃতি৷ তার সাফল্যের খতিয়ান৷ তাকেই আবার এই আধুনিক সময়ে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি৷ উদ্দেশ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বাণিজ্যের সম্প্রসারণ৷ আর তাই নতুন এই সিল্ক রুট গড়ে তোলা হবে আফগানিস্তানকে মাঝখানে রেখে৷ যাতে অংশ নেবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, কাজাখস্তান, ব্রিটেন, সুইডেন, ইটালি, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমীরশাহী, আফগানিস্তান এবং অবশ্যই জার্মানি৷

উদ্যোগ ক্রমশ বেশ কাজে পরিণত হওয়ার চেহারা দেখাচ্ছে৷ কীভাবে? গত বাইশে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনের সাইডলাইনে মোট ত্রিশটি দেশ এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে বসেছিলেন নিউ ইয়র্কে৷ প্রাথমিক যে গোষ্ঠীটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, তাতে আফগানিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে বসে এই সিল্ক রুট নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন৷

Auf den knarrenden Holzdielen in der ersten Etage stehen noch original Webstühle aus dem 19. Jahrhundert. Ab 1905 wurde die Seide maschinell verarbeitet. So wurde sie zur letzten mechanisierten Faser. Foto: Steffi Waldschmidt, eingepflegt: August 2010
রেশমের কাপড় তৈরির দৃশ্যছবি: DW

ঐতিহাসিক সেই সিল্ক রুট আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল৷ নতুন সিল্ক রুটও সেভাবেই গড়া হচ্ছে৷ মধ্য আর দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের এবং ইউরোপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিবিড় করে গড়ে তুলতে আফগানিস্তানকে ঘিরে গড়ে তোলা এই সিল্ক রুট সেদেশের অর্থনীতির জন্যও সহায়ক হয়ে উঠবে৷ তার পাশাপাশি আরও যে কারণে এই সিল্ক রুটের নবীকরণের ভাবনাচিন্তা, তাহল, ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে যাবতীয় বিদেশী শক্তি তাদের হাত গুটিয়ে নেবে৷ তারপর আফগানিস্তানকে দাঁড়াতে হবে নিজের পায়ে৷ সেই কাজে এই সিল্ক রুট যথেষ্ট উপযোগী হয়ে উঠবে৷ আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জালমাই রসুল-এর এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, সেনা ফিরিয়ে নিলেও আফগানিস্তানের উন্নয়নে পশ্চিম বিশ্ব কিন্তু আফগানিস্তানের পাশেই থাকতে চায়৷

সিল্ক রুট নিয়ে পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ইস্তানবুলের আফগানিস্তান সম্মেলনের সাইডলাইনে৷ তারপর জার্মানির বন শহরে আগামী ৫ ডিসেম্বরের আফগানিস্তান সম্মেলনে ফের আলোচনায় বসবেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন