আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাইডেন
১৯ আগস্ট ২০২০সিদ্ধান্তটা জানাই ছিল। দরকার ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নেতা নির্বাচন হওয়া। সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হলো। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পেরবিরুদ্ধে লড়বেন জো বাইডেন। তিনিই মঙ্গলবার রাতে ডেমোক্র্যাটদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা বলছে, বাইডেন এখন ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে আছেন।
করোনার সময়ে এই প্রথমবার ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশন হলো পুরোপুরি ভার্চুয়াল। সাধারণত বিশাল এলাকায় এই ধরনের কনভেনশন হয়। সবকটি রাজ্যের প্রতিনিধিরা সেখানে জানান, প্রেসিডেন্ট পদে দলের প্রার্থী হিসাবে তাঁরা কাকে চান। কিন্তু এ বার করোনার আতঙ্কে এরকম বিশাল সমাবেশ সম্ভব ছিল না। তাই পুরো প্রক্রিয়াটাই হয়েছে ভার্চুয়ালি। বাইডেন, তাঁর স্ত্রী এবং অন্য ডেমোক্র্যাট নেতাদের ভাষণ অনলাইনে দেখা গেছে।
এই ভার্চুয়াল সভায় একের পর এক রাজ্যের প্রতিনিধিরা এসেছেন এবং জানিয়েছেন, তাঁরা কেন বাইডেনকে সমর্থন করছেন। আর বাইডেন বলেছেন, ''হৃদয়ের গভীর থেকে সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা আমার কাছে অনেকখানি পাওয়া। বাকি কথা হবে বৃহস্পতিবার।'' ওই দিন বাইডেন এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে দীর্ঘ ভাষণ দেবেন।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য বাইডেনও সেই ১৯৮৮ থেকে চেষ্টা করছেন। এতদিনে তাঁর চেষ্টা সফল হলো। তাঁর ধৈর্য ও লেগে থাকার ক্ষমতা সাফল্য পেল। গতবারও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন হিলারি ক্লিন্টন। এটাই ছিল তাঁর কাছে শেষ সুযোগ। সেটাকে কাজে লাগাতে পেরেছেন বাইডেন। ১৯৭২ সালে তিনি সেনেটর হন। তারপর এতদিন পরে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হলেন। অন্য কোনো ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।
ডেমোক্র্যাটদের অধিবেশনে দলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা যেমন বলেছেন, তেমনই বলেছেন নতুন প্রজন্মের নেতারা, যাঁদের দল ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছে। জিমি কার্টার, বিল ক্লিন্টন, বারাক ওবামারা যেমন অধিবেশন থেকে ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছেন, তেমনই তরুণ নেতারাও জানিয়েছেন, কেন ৭৭ বছর বয়সী বাইডেনকে তাঁরা পছন্দ করছেন। তাঁরা কেউ স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক করার কথা বলেছেন, কেউ বন্দুকধারীদের হামলা বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন, কেউ বলেছেন বিদেশনীতিকে ঠিক করতে হবে, কেউ জলবায়ুর পরিবর্তনকে প্রধান সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে তার মোকাবিলার কথা বলেছেন। বোঝা যাচ্ছে, ডেমোক্র্যাট নেতারা করোনার বাইরে গিয়ে অ্যামেরিকার সমস্যা ও সমাধানের বিষয়েই জোর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে অন্যতম প্রধান বক্তা ছিলেন জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। তিনি বলেছেন, ''আমরা দেখাতে পেরেছি, আমাদের জাতির হৃদয় এখনো সাহস ও দয়াতে ভরা। এটাই অ্যামেরিকার আত্মা, যার জন্য জো বাইডেন লড়াই করে যাচ্ছেন।''
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)