1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্যান কেক শেপ কলাপস’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৭ এপ্রিল ২০১৩

সাভারে ভবন ধসকে ‘প্যান কেক শেপ কলাপস’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বলছেন, এ ধরণের ধসের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি৷ নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ ত্রুটির কারণে এটা হয়ে থাকে৷ এতে হতাহতের পরিমাণ হয় সবচেয়ে বেশি৷

https://p.dw.com/p/18NzW
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

বাংলাদেশে এ ধরণের ভবন ধস অতীতে হয়নি৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধিকে নিয়ে শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শন করেন সাভারের ধসে যাওয়া রানা প্লাজা৷ তিনি সেখানে উদ্ধারকর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রাথমিকভাবে ধসে পড়া ভবনটির নির্মাণ সামগ্রী পর্যবেক্ষণ করেন৷ পর্যক্ষেণের পর তিনি জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ ত্রুটিই এই ভয়াবহ ভবন ধসের কারণ৷

তিনি জানান, ভবনের পিলারগুলো ২ ফুট বাই ৩ ফুট ছিল৷ কিন্তু এ ধরণের বহুতল ভবনের পিলার হওয়া উতিত কমপক্ষে ৪ ফুট বাই ৬ ফুট৷ ভবনের বিম ও কলামের সংযোগ স্থলে কাটা রড ব্যবহার করা হয়েছিল৷ আর সেটা জোড়া লাগানো হয়েছিল খুবই নিম্নমানের ধাতব তার দিয়ে৷ রডও ব্যবহার করা হয়েছিল খুবই সাধারণ মানের৷ এর কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়৷

ড. কামাল বলেন, নিম্নমানে ইটই শুধু ব্যবহার করা হয়নি, বালু ও সিমেন্টের অনুপাতও ঠিক ছিল না৷ আর দেয়াল ঢালাই না করে ইটের গাঁথুনি দেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া, আশেপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করে তিনি জানান, জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা হলেও ঠিকমতো পাইলিং করা হয়নি৷ এই সব মিলিয়েই ঘটেছে বিপর্যয়।

এর ফলে ভবনটি ধসে গিয়ে একটি তলার সঙ্গে আরেকটি তলা প্যান কেকের মতো মিশে গিয়েছে৷ দু'টি তলার মধ্যে ফাঁকা আছে মাত্র বিমের ২/৩ ফুট৷ এর কারণ, পিলারগুলো টিকে থাকেনি৷ ফলে শুরুতেই ভবনের ভিতরের থাকা মানুষ বড় একটি অংশ মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা যায়৷ যারা এখনো ভিতরে বেঁচে আছেন তাদের পক্ষে ৭২ থেকে ৯০ ঘণ্টার বেশি টিকে থাকা সম্ভব হবে না৷ তিনি জানান, এ ধরনের ধসকে বলে ‘প্যান কেক শেপ কলাপস'৷ এই ধসে ২টি তলার মাঝে খুবই অল্প জায়গা থাকে৷ তাই উদ্ধার তৎপরতা চালানোও খুব কঠিন হয়ে পড়ে৷

তিনি জানান, ভবনের পিছন দিকটা আগে দেবে গেছে৷ কারণ জলাভূমি পিছনের দিকে৷ তার ওপর, তারের টানে পুরো ভবনটিই বসে পড়েছে৷ আর খারাপ নির্মাণ সামগ্রীর কারণে একটির ওপর আরেকটি তলা বসে গেছে, যা ভিতরে থাকা মানুষগুলোকে দ্রুত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷

মাকসুদ কামাল জানান, এই ধরণের ভবন কিভাবে নির্মাণের অনুমতি দেয়া হলো আর নির্মাণের পর তা কিভাবে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেল, তা বিস্ময়কর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য