আজ ‘কাস্ত্রো'হীন হচ্ছে কিউবা
১৯ এপ্রিল ২০১৮১৯৫৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে মার্কিন সমর্থিত কিউবার একনায়ক ফুলখেনসিও বাতিস্তাকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো৷ তারপর অসুস্থতার কারণে ২০০৮ সালে ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোর হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে দাঁড়ান তিনি৷ আর আজ রাউলও সরে দাঁড়াচ্ছেন৷ তাঁর জায়গায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন তাঁরই আস্থাভাজন মিগেল ডিয়াস-কানেল, যিনি এতদিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ প্রকৌশলে ডিগ্রিধারী ডিয়াস-কানেলের জন্ম ১৯৬০ সালে, অর্থাৎ বিপ্লবের একবছর পর৷
তবে ডিয়াস-কানেলের কিউবায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা৷ অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে কিউবার রাজনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম লেওগ্রান্দে বলছেন, ‘‘ডিয়াস-কানেলের কারণে আমাদের কিউবায় নাটকীয় পরিবর্তন আশা করা উচিত নয়৷ কারণ তিনি যদি রাউল কাস্ত্রোর নীতির সঙ্গে একমত না হতেন তাহলে তাঁকে ক্ষমতায় আনা হতো না৷''
ফ্লরিডা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাতিন অ্যামেরিকার রাজনীতির অধ্যাপক এদুয়ার্দো গামারা বলেন, ডিয়াস-কানেল প্রগতিশীল কিংবা উদারপন্থি রাজনীতিবিদ নন৷ ফলে কিউবায় উদারপন্থি শাসন ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা তিনি করবেন, বলে মনে করেন না গামারা৷
৮৬ বছর বয়সি রাউল কাস্ত্রো প্রেসিডেন্ট হিসেবে সরে দাঁড়ালেও ২০২১ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে থেকে যাবেন৷ ফলে কিউবার নীতিতে তাঁর একটি প্রভাব থাকবে৷ অবশ্য এটি ডিয়াস-কানেলের জন্য ভালোও হতে পারে বলে মনে করছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউবা বিশেষজ্ঞ খর্গে ডমিনগেজ৷ তিনি বলছেন, ‘‘ডিয়াস-কানেল যদি কঠিন, অথচ ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেন, রাউল হয়ত বলতে পারেন, ‘আমি তাঁকে সমর্থন করছি', তাহলে ডিয়াস-কানেলের জন্য বিষয়টি বাস্তবায়ন সহজ হতে পারে৷''
চেজ ভিন্টার/জেডএইচ