1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আঙ্গেলা ম্যার্কেল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস

২৬ আগস্ট ২০১১

বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে মার্কিন অর্থনীতি ম্যাগাজিন ফোর্বস৷ এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ এবার এই তালিকার প্রথম স্থানটি যে-নারীর, তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

https://p.dw.com/p/12NjD
‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী ম্যার্কেল’ছবি: dapd

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাকে হটিয়ে এবার শীর্ষ স্থানটি দখল করলেন ৫৭ বছর বয়স্কা জার্মান রাজনীতিক ম্যার্কেল৷ মিশেল ওবামার স্থান হয়েছে আট নম্বরে৷ এবার দ্বিতীয় স্থানটি অধিকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ আর তৃতীয় হলেন ব্রাজিলের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফ৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর অর্থাৎ সরকার প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত হন ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে৷ ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত পরপর চারবার বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকার প্রথম স্থানটি ছিল তাঁর৷ শুধু ২০১০'এ মিশেল ওবামার কাছে শীর্ষস্থানটি তাঁকে হারাতে হয়৷ তাঁর স্থান হয় চার নম্বরে৷ এবার ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকার এক নম্বর আসনে ফিরে এলেন ম্যার্কেল৷

NO FLASH Sommer Pressekonferenz 2011
মার্কিন ফার্স্টকে হটিয়ে এবার শীর্ষ স্থানটি দখল করলেন ম্যার্কেলছবি: dapd

সারা বিশ্বে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির, বিভিন্ন পেশার নারীরা রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতির ওপর প্রভাব রাখছেন৷ অর্থ ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বস তাঁদের মধ্য থেকেই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করে থাকে৷ এবারের শীর্ষস্থানটি জার্মান চ্যান্সেলরের জন্য নির্দিষ্ট করে ফোর্বস লিখছে: ‘‘জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল হলেন সত্যিকারের এক বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রধান৷ এবং তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘অবিসংবাদী' নেতা৷ দেশের অর্থনীতির রমরমা অবস্থা, বেকার মানুষের সংখ্যা কমে আসার কথা উল্লেখ করেছে এই সাময়িকী৷ ইউরো মুদ্রা এলাকার সংকটের মাঝে তাঁকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবেশীদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হচ্ছে৷ ফোর্বস ম্যাগাজিন লিখছে: ‘‘তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঋণভার স্থিতিশীল করতে এবং ১৭ সদস্যের ইউরো মুদ্রা অঞ্চলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷''

ইউরো সংকটের মুখে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল-উদার কোয়ালিশন সরকারের অনুসৃত নীতির কিছু সমালোচনা অবশ্য জার্মানির ভিতরে অশ্রুত নয়৷ এমনকি প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোল অতি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিশেষ করে ইউরো উদ্ধারে সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন৷ ম্যার্কেল অবশ্য তার জবাব দিতে গিয়ে জার্মানির পুনরএকত্রিকরণ এবং ইউরোপীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে হেলমুট কোল-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন৷ তবে তিনি বলেছেন, প্রতিটি সময়ে সামনে দেখা দেয় বিশেষ কিছু চ্যালেঞ্জ৷ আর তাঁর সরকার ইউরোপ এবং বিশ্বে সহযোগীদের সঙ্গে একত্রে এখনকার চ্যালেঞ্জগুলোর সুষ্ঠু মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে৷

Brüssel EU Sondergipfel
আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সুনাম কুড়িয়েছেন ম্যার্কেলছবি: dapd

ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় চার নম্বর স্থানের অধিকারী নারী হলেন ভারতে জন্ম নেয়া মার্কিন নাগরিক, পেপসি কোম্পানির সিইও ইন্দ্রা নূঈ৷ ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী রয়েছেন সপ্তম স্থানে৷ তাঁর ঠিক আগের স্থানটি দখল করেছেন প্রখ্যাত জনহিতৈষী মেলিন্ডা গেটস৷ বিনোদন জগতের বহু নারীই জায়গা করে নিয়েছেন তালিকায়৷ যেমন ১৮ নম্বরে আছেন গায়িকা বিয়ন্স নোলস৷ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির স্থান এবার ২৯৷ তবে এ তালিকায় অ্যামেরিকানদেরই জয়জয়কার৷ ১০০ জনের মধ্যে ৬৫ জন নারীই অ্যামেরিকার৷ তিনজন ভারতের৷ তালিকার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নারী হলেন ব্রিটেনের ৮৫ বছর বয়স্কা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ তাঁর স্থান ৪৯৷ আর বয়ঃকনিষ্ঠ হিসেবে ১১ নম্বরে আছেন ২৫ বছর বয়স্কা পপরানি লেডি গাগা৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা:  সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়