আগুনের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ করছে গ্রিস আর ফ্রান্স
গ্রিসের বিশাল এলাকা জুড়ে জ্বলছে আগুন৷ দাবদাহ থেকে জ্বলা আগুনের সঙ্গে লড়ছেন ৪০০ দমকলকর্মী৷ আগুন নেভাতে গিয়ে ফ্রান্সেও গলদঘর্ম ৫০০ দমকলকর্মী৷ দু’দেশেই উজাড় হচ্ছে বন, বসতি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ৷ দেখুন ছবিঘরে...
দাবদাহেরও দেশ
গ্রিসকে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সংকটগ্রস্ত দেশ বললে ভুল হবে না৷ সাম্প্রতিক সময়ে দাবানলও লেগেই আছে দেশটিতে৷ ২০১৮ সালে দাবানল থেকে লাগা আগুনে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, পুড়ে ছাই হয়েছিল বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল৷ এ বছর গ্রীষ্ম শুরু হতেই গ্রিস পড়েছে দাবানলের কবলে৷ গত সপ্তাহে দাবানল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায়৷
এভিয়া দ্বীপ জ্বলছে
তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ গরমে অতিষ্ঠ এভিয়া দ্বীপের মানুষের জীবনে আরো বড় বিপদ নামে গত মঙ্গলবার৷ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে বনাঞ্চলে৷ পুড়তে থাকে গাছ৷ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ৷ জনবসতির দিকেও ধেয়ে আসে আগুন৷
ভয়াবহ ক্ষতি
তিন দিন ধরে আগুন জ্বলছে এভিয়া দ্বীপে৷ ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন চারটি গ্রামের মানুষ৷ এগ্রিলিতসার ৫৫০ হেক্টর জমি পুড়ে প্রায় ভস্ম হয়েছে৷
আগুনের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই
আগুন নেভানোয় সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ৪০০ দমকলকর্মী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছে নয়টি হেলিকপ্টার, তিনটি বিমান আর ১০০টি গাড়ি৷
অসহায় মানুষ, অসহায় গবাদি পশু
হঠাৎ ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় বিপর্যয় নেমেছে স্থানীয়দের জীবনে৷ পশু-পাখিদের জীবনও বিপন্ন৷ ছবিতে একটি ছাগলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এক কৃষক৷
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
পরিস্থিতি ভয়াবহ৷ তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আগুন নেভানোয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো বড় পরিসরে অংশগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস৷
ফ্রান্সেও আগুন
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্বের শহর আউদে-তেও আগুন জ্বলছে বুধবার থেকে৷ আগুন নেভানোর জন্য লড়ছেন অন্তত ৫০০ দমকলকর্মী৷ ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে ৫০০ হেক্টর পাইনবন৷ আগুন নেভাতে যত দেরি হবে, ততই বাড়বে পোড়া বনের বিস্তৃতি, বাড়বে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যাও৷ছবিতে বিমান থেকে পানি ছিটানোর দৃশ্য৷