1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আওয়ামীলীগ একটি বিভ্রান্ত রাজনৈতিক দল’

১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘আওয়ামীলীগ একটি বিভ্রান্ত রাজনৈতিক দল৷ তারা কখন কী বলে তার কোন ঠিক নেই৷ একবার বলে কেয়ারটেকার সরকার লাগবে, আরেকবার বলে লাগবে না৷’’

https://p.dw.com/p/4Vrc1
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ইমিরেটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘যারা ১৯৭৫ এর ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে সাথে নিয়েই আওয়ামী লীগ জোট গঠন করছে৷ এই জন্যেই বলি আওয়ামী লীগ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড একটা দল৷'

‘রাজনীতির মাঠে সেপ্টেম্বরে কী হবে?' শিরোনামে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার ইমিরেটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান৷

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘‘পদ্মা সেতু করতে ড. ইউনূস বাধা দিয়েছেন এর পক্ষে কোন প্রমাণ আছে কিনা?'' তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর সবকিছুর তাৎক্ষণিক প্রমাণ দেয়া যায় না৷ তবে পারিপার্শ্বিক অনেক ঘটনা থেকে অনেক কিছু মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া যায় যে, ড. ইউনূস তার নিজের বিষয়গুলো সামনে না আনলে হয়তো পদ্মা সেতুর ইস্যুটি চাইলে সমাধান করা যেতো৷'' 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লেখা ১৭৪ বিশিষ্ট ব্যক্তির চিঠির বিষয়ে নাইমুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ফ্রেন্ডস অফ ইউনূসরা পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল হওয়ার কলকাঠি নাড়ে৷ বারাক ওবামার চিঠির অর্থ হচ্ছে, যে ড. ইউনূস এর স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেয়া হচ্ছে, হ্যারেস করা হচ্ছে৷''

এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, ‘‘সরকারের দায়িত্বপূর্ণ জায়গা থেকে মুখে বলা ছাড়া তো আর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ বন্ধু তো বন্ধুর জন্য চিঠি দিতেই পারে৷'' তার উত্তরে নাইমুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটে নাই পৃথিবীর ইতিহাসে৷ এটা পুরোপুরি যুক্তিহীন৷ আর ওনার ভালো কাজ করতে বাধা হচ্ছে কোথায় ?''

ড. ইউনূসের মামলার ব্যাপারে নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘‘উনি ৪৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন ১২০০ কোটি টাকার মামলায়৷ তার মানে তিনি তার দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন৷''

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠন হলে বিএনপি তার সাথে যাবে কিনা প্রশ্নের জবাবে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘ড. ইউনূস বাংলাদেশের কৃতি সন্তান৷ তার প্রাপ্য সম্মান আমরা আগেও দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি৷ তবে তার অধীনে আমরা জোটে যোগ দিবো কিনা এইসব বিষয়ে আমার কোন ধারণা নাই৷ অনুমান নির্ভর আমি কোন মন্তব্য করবো না৷''

তিনি মনে করেন, ‘‘ড. ইউনূসকে সম্পূর্ণ উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে৷''

সরকারের ইচ্ছা না থাকলে মামলা নেয়া খুব কঠিন খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই কথা আংশিক সত্য৷ উনি সরকারের বিরুদ্ধে আছেন বলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা সহজ৷ এটা একটা রাজনৈতিক মামলা৷ বিএনপি তার উপর ভর করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুবিধা নিতে চাচ্ছে৷''

এসএইচ/এআই