অ্যালকোহল পান ছাড়তে চান জার্মানরা
অ্যালকোহল পানসহ অন্যান্য আরো অনেক আহারের বিষয়ে সংযমী হতে চান জার্মানরা৷ এ প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন৷
রোজা রাখতে চান জার্মানরা?
ধর্মীয় কারণ ছাড়াও পানাহারের বিষয়ে আরও সংযমী হতে চান জার্মানরা৷ জার্মানির স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি ডিএকে’র এক গবেষণা বলছে, প্রায় ৬৩ শতাংশ জার্মান মনে করেন পানাহারের ক্ষেত্রে নিয়মিতই তাঁদের সংযম করা উচিত৷ আট বছর আগে সংখ্যাটি ছিল ৫৩ ভাগ৷
রোজা আছে সব ধর্মেই
রোজা রাখার বিষয়টি সব ধর্মের লোকেরাই পালন করে থাকেন৷ ইস্টারের ৪০ দিন আগে থেকে রোজা শুরু করেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা৷ ইসলামে রোজা নিয়ে রয়েছে বছরের একটি মাস৷ রোজা রাখার এ প্রবণতা রয়েছে ইহুদিদের মাঝেও৷ এদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য ধর্মীয় রীতি অনুসারে রোজা রাখার কোনো রেওয়াজ না থাকলেও ব্যক্তি জীবনে তাঁদের অনেকেই পানাহারে সংযম পালন করে থাকেন৷
অ্যালকোহল পানে অনীহা!
ডিএকে’র গবেষণা বলছে, ৭৩ ভাগ জার্মান অ্যালকোহল পান ত্যাগ করতে চান৷ তবে জার্মানদের অনেকেই আবার মনে করেন, অ্যালকোহল পান সংযমের বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না৷
আমিষ ভোজনে সংযম
খ্রিষ্ট ধর্ম অনুসারে পানাহারে সংযমের অন্যতম একটি বিষয় হলো, আমিষ খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা৷
আরো ক্ষতিকর চিনি!
লেন্ট উৎসবের সময়টিতেই মূলত রোজা রাখেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা৷ মাংসভোজন ত্যাগের পাশাপাশি চিনি খাওয়াও ত্যাগ করতে চান তাঁরা৷ গবেষণাটি বলছে, দেশটির ৭০ ভাগ নারী চিনি খাওয়া বাদ দিতে চান৷
আর নয় ধূমপান!
ধূমপানের বিষয়ে চার্চ থেকে অতটা কড়াকড়ি নেই৷ তবে গবেষণায় অংশ নেয়া ৩৮ ভাগ উত্তরদাতা বলছেন, তাঁরা ধূমপান ত্যাগ করতে চান৷
পরিবেশবাদী সংযম
সংযমের তালিকায় আছে পরিবেশও৷ যখন আপনি বিমানে চড়েন তখন কার্বন নিঃসরণ করে পরিবেশের ক্ষতি করেন৷ তাই ইস্টারের আগে বিমানে না চড়াসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আচরণের বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেন চলছে অনেকদিন থেকেই৷ চার্চগুলোও এ বিষয়ে সচেতন করছে জনগণকে৷
প্রযুক্তি সংযম
পানাহার কিংবা পরিবেশ বিষয়ে সংযমের পাশাপাশি আরেকটি সংযম হলো প্রযুক্তি সংযম৷ নিউ মিডিয়ার এ যুগে প্রতিনিয়তই আমরা প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাপন করছি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সংযমী করে তোলা জরুরি৷