1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

অ্যামেরিকায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

৩০ মার্চ ২০২৩

তার বৈঠক হতে পারে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারের সঙ্গে। তীব্র প্রতিবাদ চীনের।

https://p.dw.com/p/4PTK6
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট অ্যামেরিকায়
ছবি: Yuki Iwamura/AP/picture alliance

বুধবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন। তবে তাইওয়ানের প্রশাসন জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কে প্রেসিডেন্টের স্টপওভার। তিনি মধ্য অ্যামেরিকার দুইটি দেশে যাবেন। এর মধ্যে গুয়াতেমালা আছে। গুয়াতেমালা তাইওয়ানকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তাইওয়ানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিউ ইয়র্কে থাকবেন। মাঝে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া যেতে পারেন। যেতে পারেন লস অ্যাঞ্জেলস। ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকআর্থির সঙ্গে দেখা করতে পারেন। যদিও এই বৈঠক সরকারি নয় বলেই দাবি করা হয়েছে।

তাইওয়ানকে শক্তি দেখালো চীন

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অ্যামেরিকা সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। চীনের সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সাই-ইং-ওয়েন যদি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে তার ফল ভালো হবে না। চীন চরম ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনে চীনের রাষ্ট্রদূত পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন বলে জানানো হয়েছে।

বস্তুত, এর কিছুদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেসের তৎকালীন স্পিকার ন্যানসি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছিলেন। অ্যামেরিকার এত বড় পদাধিকারী এর আগে কখনো তাইওয়ান সফর করেননি। ওই সফর নিয়েও চীন তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। তাইওয়ানের উপকূলে সামরিক মহড়া শুরু করে দিয়েছিল। এবারও তারা তেমনই কিছু করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে। অ্যামেরিকা অবশ্য এখনো এনিয়ে সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

চীন তাইওয়ানকে এক চীন নীতির অন্তর্গত করার চেষ্টা করছে। তাইওয়ান এবং হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবৎ করা হয়েছে। তাইওয়ানকে আলাদা দেশের মর্যাদা দিতে তারা নারাজ। কিন্তু তাইওয়ান পশ্চিমা দেশগুলির সমর্থন পায়। তাদের সঙ্গে পৃথক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে তাইওয়ানের। ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, অ্যামেরিকা তাহলে চুপ করে বসে থাকবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)