অ্যাভোকাডোর নানাগুণ
ফলটির চেহারা দেখে তেমন লোভনীয় মনে না হলেও কিন্তু এর রয়েছে অনেক গুণ৷ মাখনের মতো নরম অ্যাভোকাডো ফল বিভিন্ন রোগ সারাতে যেমন সহায়তা করে, তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু৷ জেনে নিন এই ফল কিভাবে খেলে কী উপকার হয়৷
অ্যাভোকাডোর সালাদ উচ্চ রক্তচাপ কমায়
পাকা অ্যাভোকাডোর খোসা ছাড়িয়ে কেটে ভিনেগার দিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিন৷ এবার সালাদের সাথে মিশ্রনটি ঢেলে দিন৷ এই সালাদ নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমানো সম্ভব৷
অ্যাভোকাডো ড্রিংক
অ্যাভোকাডোর সাথে নারকেলের দুধ, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, আদা বাটা,লবণ আর মধু মিশিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করে নিন৷ এবার এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে খেয়ে নিন৷ এই বিশেষ ড্রিংক ধমনীকে মসৃণ করবে৷
অ্যাভোকাডো মাখন
২০০ গ্রাম মাখনের সাথে অর্ধেক অ্যাভোকাডো কেটে ভালোভাবে মিশিয়ে সেটা রুটির ওপর লাগিয়ে নিন৷ এভাবে খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা কমবে৷ তাছাড়া মাখনের মতো সুস্বাদু ফলটি যৌনশক্তি বাড়াতে বিশেষভাবে সহায়তা করে৷
অ্যাভোকাডো স্মুদি
অ্যাভোকাডোর সাথে দই, কলা পালং শাক পাতা এবং পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন৷ এই স্মুদি প্রতিদিন খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী থাকে৷
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর ফ্যাট৷ তবে ভয়ের কিছু নেই, কারণ, তা পুরোপুরি প্রাকতিক ফ্যাট৷ এই ফলে থাকা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টরেল স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে৷
অ্যাভোকাডো তেল
ঘরে তৈরি করে নিতে পারে অ্যাভোকাডো তেল৷ ২ কেজি পাকা ফলের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে ১০০ গ্রাম পানিতে গরম করে একেবারে আলু ভর্তার মতো করে নিন৷ এবার ছেকে নিয়ে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন৷ দুই সপ্তাহ নিশ্চিন্তে খাওয়া যাবে৷
অ্যাভাকাডো যা যা করে
এই তেল চোখ, ত্বক, লিভার, হাড়ের জয়েন্ট ভালো রাখবে৷ শুধু তাই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়৷ এসব তথ্য জানা গেছে অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফর রিসার্চ, মেলবোর্ন বিশ্ব বিদ্যালয়, জার্মানির বোখুম বিশ্ববিদ্যালয় ডেনমার্কে করা বিভিন্ন সমীক্ষায় থেকে৷