1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অশান্ত মণিপুরে গুলির লড়াই, মৃত দুই

৩০ আগস্ট ২০২৩

আবার অশান্ত মণিপুর। আবার কুকি ও মেইতেইদের সংঘর্ষ। দুইজন মারা গেছেন এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

https://p.dw.com/p/4VjXt
মণিপুরে প্রচুর সেনা, আসাম রাইফেলস, কম্য়ান্ডো, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুকি ও মেইতেইদের লড়াইয়ে আবার অশান্ত মণিপুর। ছবি: -/AFP/Getty Images

কুকি-অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও মেইতেই-প্রধান বিষ্ণুপুরের সীমানায় খইরেনতাক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দাবি করেছে, নারানসেনার কাছে ওই গ্রামে গুলির লড়াই হয়। তাতেই দুইজন মারা গেছেন। সাতজন আহত হয়েছেন।

দ্রুত পুলিশ, আসাম রাইফেলস এবং কম্যান্ডোরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের দাবি, সকাল দশটা নাগাদ গ্রামে আক্রমণ চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ছিল। তারাও গুলি চালাতে থাকে। গ্রামরক্ষী বাহিনীর একজন মারা যান। এরপরই ওই এলাকাজুড়ে ব্যাপক গুলির লড়াই চলতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওই লড়াই চলে।

এর আগে পাহাড়ের নিচের এলাকায় একজন কৃষককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তিনি তখন জমিতে চাষ করছিলেন। তার বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মণিপুরের পরিস্থিতি

মণিপুরে কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। চার মাস ধরে পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। প্রায় ১৫০ মানুষ মারা গেছেন। মেইতেই এলাকায় কুকিদের এবং কুকি এলাকায় মেইতেইদের যে বাড়ি ছিল প্রায় সব জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

দুই তরফের হাতেই প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। প্রায়ই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় আসাম রাইফেলস ব্যারিকেড করে রেখেছে। তাছাড়া কুকি মেয়েরাও দিনরাত রাস্তায় বসে থেকে প্রহরা দেন।

আবার মেইতেই এলাকায় একই কাজ করেন মেইতেই নারীরা। সেখানেও মণিপুর পুলিশের ব্যারিকেড আছে।

বিধানসভার অধিবেশন

মণিপুর বিধানসভার বাজেট অধিবেশন হয়েছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে। তারপর ৩ মে থেকে কুকি ও মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন আর বসেনি। মঙ্গলবার বিধানসভার একদিনের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছিল।

রণক্ষেত্র মণিপুর

অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। প্রবল হট্টগোল হয়। তার মধ্যেই তিনটি প্রস্তাব পাস হয়। একটি প্রস্তাবে বলা হয়, সহিংসতা ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

কুকিদের দশজন বিধায়ক আছেন। তারা কেউই অধিবেশনে যোগ দেননি। তারা জানিয়ে দেন, ইম্ফলে আসতে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই, তারা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। তাছাড়া তারা এই একদিনের অধিবেশনের পক্ষে নয় বলেও জানিয়েছেন।

কংগ্রেসও একই দাবি জানিয়ে বলে, অন্তত পাঁচদিনের অধিবেশন করতে হবে। তবে তাদের দাবি মানা হয়নি।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)