1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফ্রান্স

অলিম্পিকের পর নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানাবেন মাক্রোঁ

২৪ জুলাই ২০২৪

বামপন্থিরা চেয়েছিল, এখনই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হোক। মাক্রোঁ সেই দাবি খারিজ করলেন।

https://p.dw.com/p/4ieL8
ব্রডকাস্টার ফ্রান্স ২-কে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন মাক্রোঁ।
প্যারিস অলিম্পিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানাবেন না মাক্রোঁ। ছবি: Ludovic Marin/AFP/dpa/picture alliance

মাক্রোঁ বলেছেন, প্যারিস অলিম্পিকের পর তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। ততদিন দলগুলিও নিজেদের মধ্যে একটি বৃহত্তর জোট তৈরি করতে পারবে। অলিম্পিক যতদিন চলবে, ততদিন কেয়ারটেকার সরকারই কাজ চালাবে।

ব্রডকাস্টার ফ্রান্স ২-কে মাক্রোঁ বলেছেন, ''এখন আমাদের অলিম্পিককেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।'' অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত অলিম্পিক চলবে। অলিম্পিকের উদ্বোধন হবে শুক্রবার। বুধবার থেকে অবশ্য ফুটবলের ম্যাচ শুরু হয়ে যাচ্ছে।

মাক্রোঁ বলেছেন, ''অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর আমার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা। তারপর সরকারের গঠনের কাজটা তার উপর ছেড়ে দেয়া।  আমি বৃহত্তর জোট চাই।''

বামেদের প্রার্থী কে?

মাক্রোঁর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের একঘণ্টা আগে বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট(এনপিএফ) জানিয়ে দেয়, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তারা লুসি ক্যাসটেটকে চান। বামপন্থিরা পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে

ক্যাসটেট হলেন প্যারিস সিটি হলের ফাইন্যান্স ও পারচেসিংয়ের ডিরেক্টর। দলীয় রাজনীতির বিষয়ে তার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।

মাক্রোঁকে বামপন্থিদের ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। মাক্রোঁর জবাব হলো, ''নামটা আসল বিষয় নয়। আসল বিষয় হলো, ন্যাশনাল অ্যাসম্বেলিতে কোন সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট তৈরি হয়, সেটা।''

মাক্রোঁ বলেছেন, ''অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনো কিছু করা যাবে না। কারণ তখন প্যারিস অলিম্পিক চলবে। এই অলিম্পিক করাটা নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দিক থেকে ফ্রান্সের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।''

ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট কেন?

চকিত-নির্বাচনের পর থেকে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলছে।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তিনটি ব্লকে দলগুলি বিভক্ত। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট, যারা সবচেয়ে বেশি আসনে জিতেছে, মাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট এবং লে পেনের নেতৃত্বে অতি-ডানপন্থিরা।

প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার মাক্রোঁর আছে। তবে তিনি যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাছবেন, তার পিছনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন থাকা জরুরি। না হলে অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে তার পতন ঘটবে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)