অলিম্পিকের পর কা’র কেমন মেজাজ
২ মার্চ ২০১০জার্মান দলের লক্ষ্য ছিল: দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশী সোনা-রুপো-তামা সংগ্রহ করা৷ সে সম্মানটা ক্যানাডাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে৷ তবুও, ভ্যাঙ্কুভারে জার্মানরা সব মিলিয়ে ৩০টি পদক পেয়েছে, ২০০৬ সালে টুরিনের চেয়ে একটি বেশী৷ তবে আইস হকি, বিয়াথলন এবং বিশেষ করে শর্টট্র্যাক, ফ্রিস্টাইল এবং স্নোবোর্ডের মতো নতুন স্পোর্টগুলোয় জার্মানি ভালো ফল করতে পারেনি৷ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বলেছেন: ‘‘আমাদের বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, এই নতুন স্পোর্টগুলোয় জার্মানিতে কেন পর্যাপ্ত এ্যাথলীট নেই, আমাদের কিশোর-তরুণরা কেন এই নতুন স্পোর্টগুলোর দিকে ঝোঁকে না, কেন আমাদের স্পীড স্কেটিং কিংবা শর্টট্র্যাকে যথেষ্ট তরুণ প্রতিভা নেই৷''
২০০ মিলিয়ন ডলার লোকসান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন অলিম্পিক সম্পর্কে জনতার আগ্রহ বহু বছর ধরেই কমে আসছিল৷ ভ্যাঙ্কুভারের ফলাফলের কারণে সেই আগ্রহ আবার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে৷ এনবিসি টেলিভিশন সংস্থা রেকর্ড ৮২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যে সম্প্রচারের অধিকার কিনেও শেষমেষ প্রায় ২০০ মিলিয়ন লোকসান করবে - যদিও যুক্তরাষ্ট্রে টিভি'তে অলিম্পিক দেখা মানুষদের সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ৷ মার্কিন দল এবার ৩৭টি পদক জিতে জার্মান দলের ২০০২ সালে করা রেকর্ডটি ভেঙেছে৷
‘মাথা আনো'
রুশীরাই সবচেয়ে হতাশ এবং খাপ্পা৷ এককালে মহাশক্তিধর রাশিয়া এবার মাত্র তিনটি সোনা নিয়ে পদকের তালিকায় একাদশ৷ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রুশ অলিম্পিক কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যেই হুঙ্কার দিয়েছেন: গদি ছাড়ো, নয়তো তোমাদেরই তাড়ানো হবে৷ রুশ স্কি জাম্পিং দলের জার্মান কোচ ভোলফগাং স্টায়ার্ট নাকি ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন৷ ওদিকে ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ার সোচি'তে৷
প্রতিবেশী মানে প্রতিদ্বন্দ্বী
নরওয়ে'র ক্রস-কান্ট্রি স্কি দল এবার বিপুলভাবে সফল৷ তাছাড়া নরওয়ে এবার চির-প্রতিদ্বন্দ্বী সুইডেনের প্রায় দ্বিগুণ পদক এনেছে৷ কাজেই অসলো আত্মতৃপ্তিতে পরিপূর্ণ৷ জাপানের ক্ষেত্রে যা আদৌ বলা চলে না, কেননা জাপান এবার তাদের এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় প্রায় কিছুই করতে পারেনি৷ শুধু সোনার হিসেবেই: জাপানের শূন্য এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ছয়৷ এমনকি জাপানি অলিম্পিক কর্মকর্তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে অনুকরণ করার কথাও বলছেন৷ চীন সেদিকে শীতকালীন অলিম্পিকে এযাবৎ তাদের সেরা ফলাফল করে উল্লসিত: তার মধ্যে পাঁচটি সোনা৷ এই সাফল্যের কারণ নাকি নতুন প্রযুক্তি, বিদেশী ট্রেনার এবং বিদেশী ভাষাশিক্ষা, বলছেন চীনের কর্মকর্তারা৷ ব্যাপারটা ভেবে দেখার মতো৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই