1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থবহ আরব-ইসরায়েল আলোচনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্র

২৭ জুলাই ২০০৯

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে আবারো নতুন উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ইহুদি বসতিস্থাপন থেকে শুরু করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি - এসব নানান ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তাই মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা৷

https://p.dw.com/p/IyGT
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক এর সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসছবি: AP

ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন-এর মধ্যে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জর্জ মিচেল এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলে পৌঁছোন গেটস৷ আলোচনা করেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক এবং প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে৷ সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল স্থবির হয়ে পড়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া এবং ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের অগ্রগতি ও তার প্রতিরোধের উপায়৷

গেইস-এর কথায়, প্রেসিডেন্ট ওবামা যেমন বলেছিলেন - ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অবিচ্ছেদ্য৷ তাই ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মার্কিন প্রতিশ্রুতির কথা আমি আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই৷ আমার মতে এ অঞ্চলে বেড়ে চলা সন্ত্রাসবাদ এবং ইরানের পরমাণু পরিকল্পনা শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও একটা অশনি সংকেত৷ তাই ক্রমবর্ধমান বোমা ও রকেট হামলার মোকাবেলা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালি করে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্বকভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত৷

বলাই বাহুল্য, গেটস-এর সঙ্গে এহেন একটা খোলামেলা আলোচনা ইতিবাচক ইঙ্গিতই বয়ে এনেছে ইসরায়েলের জন্য৷ তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে সাময়িকভাবে ধৈর্য্য ধরতে বলায়, ইসরায়েল কিছুতেই তাদের নীতি অবস্থান থেকে নড়বে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক৷ তিনি জানান : ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনা যদি বন্ধ করা না যায়, তবে তা সারা বিশ্বের ভারসাম্যকে নষ্ট করতে উদ্যত হবে৷ তাই এ সমস্যার অতি দ্রুত একটা সমাধান প্রয়োজন৷ আর সেটা যদি কূটনৈতিক উপায়ে সম্ভব না হয়, তবে নিষেধাজ্ঞার পথই বেছে নিতে হবে পশ্চিমা বিশ্বকে৷

স্বাভাবিকভাবেই, ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে ঐ অঞ্চলের শান্তির জন্যে হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন গেটস৷ প্রসঙ্গত, পশ্চিমতীর এবং পূর্ব-জেরুজালেমে ইসরায়েলি বসতিস্থাপন কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন এবং তেল আভিভের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ইসরায়েলের পর জর্ডান সফরে যাবেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কূটনৈতিক সফরে রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিশেষ দূত জর্জ মিচেল৷ এর আগে, অর্থাৎ রবিবার, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক-এ যান তিনি৷ বৈঠক করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা যে একটি অর্থবহ আরব-ইসরায়েল আলোচনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ - তা আসাদ-কে অত্যন্ত স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন মিচেল৷ বলেন, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি প্রতিষ্ঠাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্দেশ্য৷ আর এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বড় ধরণের একটি ভূমিকা পালন করছে সিরিয়া৷ দৃশ্যত, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে সিরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল৷

দামেস্কে আলোচনা শেষে, তেল আভিভ-এ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে বৈঠক করেন জর্জ মিচেল৷ সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে তিনি কথা বলেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক-এর সঙ্গে৷ বলেন, মধ্যেপ্রাচ্যে শান্তিস্থাপনকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে ওমাবা সরকার৷ তাই খুব শীঘ্রই উভয়পক্ষের সম্মান এবং স্বার্থ রক্ষা করতে আমরা নিশ্চিৎ৷ উল্লেখ্য, ঐ আলোচনায় মিচেল এবং মুবারকের সঙ্গে যোগ দেন মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘাইট-ও৷

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার