অরুন্ধতী রায়ের আলোচিত কয়েকটি উদ্ধৃতি
ছবিমেলার আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন বুকার পুরস্কারজয়ী ভারতীয় লেখক অরুন্ধতী রায়৷ তাঁর বাবার বাড়ি বরিশালে৷ আমেরিকার যুদ্ধনীতি, ভারতের কাশ্মীর-দলিত-গোরক্ষা-আদিবাসী সব জ্বলন্ত ইস্যুতে সবচেয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তারঁ৷
নতুন ধরণের রাজনীতি
‘‘আমাদের নতুন ধরণের রাজনীতির দরকার৷ শাসনের রাজনীতি নয়, প্রতিরোধের রাজনীতি, বিরোধীদের রাজনীতি৷ এমন রাজনীতি, যেখানে বিশ্বের প্রতিটি হাত একসাথে হয়ে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করবে৷’’
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
‘‘কথা বলা এবং চুপ করে থাকা দু’টোই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ৷’’
‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা প্রয়োজন’
২০১০ সালে কাশ্মীরের সাথে সংহতি জানিয়ে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে অরুন্ধতী রায় বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীরের জনগণ নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে, তারা সাবলম্বী৷ তাই ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরের স্বাধীন হওয়া দরকার৷’’
‘চুপ করে থাকা অপরাধ’
‘‘সমস্যাটা তখন তৈরি হয়, যখন তুমি সেটা দেখে এড়িয়ে যেতে পারো না৷ আর যখন তুমি এটি দেখেও চুপ করে থাকো, কিছু বলো না, সেটা তোমাকে নির্দোষ প্রমাণ করে না৷ বরং তুমি যা দেখেছো, তার প্রতিবাদ না করাটা তোমাকে দায়ী করে৷’’
জাতীয়তাবাদ
‘‘বিশ শতকে বেশিরভাগ গণহত্যার কারণ ছিল জাতীয়তাবাদ৷’’
পরিবর্তন আসবেই
‘‘যে-কোনো উপায়েই হোক পরিবর্তন আসবে৷ সেটা রক্তপাতের মাধ্যমে আসতে পারে বা সুন্দর কোনো পথ ধরে৷ সেটা নির্ভর করছে আমাদের উপর৷’’
একাত্মতা
‘‘জনগণ সেটাকেই সবচেয়ে ভালোবাসে, যার সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারে৷’’
অ্যামেরিকার বাইরেও জগত আছে
‘‘অ্যামেরিকান পদ্ধতিতে জীবন-যাপন টেকসই নয়৷ এটা ভাবাই হয় না যে, অ্যামেরিকার বাইরেও জগত আছে৷’’
বিক্ষোভের প্রয়োজন আছে
‘‘বর্ণিল বিক্ষোভ, সপ্তাহান্তে সমাবেশ জরুরি৷ কিন্তু যুদ্ধ থামাতে একা কেউ শক্তিশালী নয়৷ যুদ্ধ তখনই বন্ধ হয়ে যায়, যখন যোদ্ধারা যুদ্ধ করতে চায় না, যখন শ্রমিকরা জাহাজ বা বিমানে অস্ত্র তুলে দেয়া থেকে বিরত থাকে৷’’