অবশেষে সুদিনে মিরাজ আর মুস্তাফিজ
এতদিন তারা যেন নিজেকেই খুঁজছিলেন৷ যে সম্ভাবনা নিয়ে শুরু, সাফল্য ঠিক সেই হারে আসছিল না৷ মুস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজ অবশেষে কথা বলছেন পারফর্ম্যান্সে৷ দেখুন ছবিঘরে...
সেই কাটার মাস্টার
বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেকের দিনগুলোর কথা ভাবুন৷ শুরুটা ওয়ানডে দিয়ে৷ পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজই ছিলেন ভারতের বিপক্ষে জয়ের নায়ক৷ ২০১৫ সালেই সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শুরু টেস্ট ক্যারিয়ার৷ কাটারে কাটারে কী নাস্তানাবুদই না করেছিলেন ব্যাটসম্যানদের!
‘আগামীর সাকিব’
ব্যাটে বলে ধারবাহিক পারফর্ম্যান্সে ধীরে ধীরে সাকিব আল হাসানের মতো অলরাউন্ডার হয়ে উঠকেন - এ আশাই ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে৷ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্পিন বোলার আর চার নম্বরে ব্যাট করা ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমনই ছিল পারফর্ম্যান্স৷
ব্যাটে ম্লান মিরাজ
আগে অভিষেক টেস্ট ক্রিকেটে৷ ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে ৬ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রানে ১ উইকেট নিয়ে ঘূর্ণি বলের জাদুটা ভালোই দেখিয়েছিলেন৷ তবে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই করেন এক রান৷ অনেকের তো ক্যারিয়ার শূন্য দিয়েও শুরু হয়৷ তাই ভরসা ছিল সে বছরই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে চারটি ফিফটি করার পাশাপাশি ১২ উইকেটও নেয়া মিরাজের ব্যাট টেস্ট ক্রিকেটেও হাসবে৷
দিকহারা দুই ‘দোস্ত’
মুস্তাফিজ আর মিরাজ শুধু সতীর্থ খেলোয়াড়ই নন, বেশ আন্তরিক সম্পর্ক বলে দু’জন দু’জনের বন্ধুও৷ ইনজুরি এবং তারপর ফর্ম হারানোর কারণে ২৫ পেরোনো ‘কাটার মাস্টার’ ১৪ টেস্টে পেয়েছেন মাত্র ৩০ উইকেট আর ৬১ ওয়ানডেতে মাত্র ১১৫ উইকেট৷ ২৩ বছর বয়সি মিরাজ ২২ টেস্টে পেয়েছেন ৯০ উইকেট আর ওয়ানডেতে ৪৪ ম্যাচে ৪৭ উইকেট৷ কিন্তু ব্যাটিংয়ে এতদিন শুধু হতাশাই ছড়িয়েছেন৷ ২২ টেস্টে মাত্র ৬৩৮ রান আর ৪৪ ওয়ানডেতে মাত্র ৩৯৩ রান তার৷
অবশেষে জ্বলে ওঠা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৬ উইকেট আর চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ৷ মিরাজকেও দেখা গেছে অলরাউন্ডার রূপে৷ ওয়ানডেতে সিরিজে পান ৭ উইকেট৷ টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির (১০৩) দেখা৷ প্রথম ইনিয়সে ৫৮ রানে চার উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৪ উইকেট৷ মিরাজ আর মুস্তাফিজের বুঝি এসেছে সুদিন!