অপচয়ের হিসাব দিলেন জার্মান করদাতারা
জার্মান করদাতাদের সংগঠন বিডিএসটি যেসব প্রকল্পে করদাতাদের অর্থের অপচয় হয়েছে বলে মনে করে, তার একটি তালিকা প্রতিবছর প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে ২০১৯ সালের কথা থাকছে৷
ইঁদুরের জন্য সেতু
পাসাও শহরে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণের ফলে ইঁদুরের বাসস্থানের ক্ষতি হয়েছে৷ তাই ইঁদুরের কথা বিবেচনা করা বাইপাসের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে৷ এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা৷ ছবিটি খেয়াল করে দেখুন, ব্রিজটি ব্যবহার করতে ইঁদুরকে ২৩ ফুট উঁচুতে উঠতে হবে৷ তারপর ৬৬ ফুট রাস্তা পার হতে হবে৷ ইঁদুরেরা এমন সেতু কতখানি ব্যবহার করবে তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে বিডিএসটি৷
পাখির সোনালি বাসা চুরি
এটি একটি শিল্পকর্ম৷ স্বর্ণ দিয়ে তৈরি এই ৭৪টি শাখা দিয়ে পাখির বাসা বানানো হয়েছে৷ খরচ হয়েছে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা৷ বার্লিনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা ছিল এটি৷ তৃতীয়বারের চেষ্টায় এটি নিয়ে যেতে সমর্থ হয় চোরেরা৷
মাশুল আদায়ে ব্যর্থ
মহাসড়কে মাশুল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিবহনমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস শয়ার৷ সেটি বাস্তবায়ন করতে চুক্তিও সই হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস’ এক রায়ে বলেছে, এই মাশুল নন-জার্মানদের জন্য বৈষম্যমূলক৷ ফলে আর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারছেনা জার্মান সরকার৷ কিন্তু সরকার যেহেতু বাস্তবায়ন চুক্তি করে ফেলেছে, তাই সেটা মেটাতে ‘শত শত মিলিয়ন ইউরো’ খরচ হবে বলে জানিয়েছে বিডিএসটি৷
জাহাজ সংস্কারে অপচয়
এটি নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ জাহাজ৷ এটি সংস্কার করতে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৭১ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে জানা গেছে৷ তবে এর চেয়ে কম খরচে নতুন একটি জাহাজ নির্মাণ করা যেত বলে মনে করছে বিডিএসটি৷
বনবিড়াল রক্ষা
বনবিড়াল রক্ষা বিষয়ক একটি প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে ২৫ কোটি টাকা৷ বিডিএসটি বলছে, অবশ্যই বনবিড়াল রক্ষা জরুরি৷ তবে এজন্য যে ব্যয় ধরা হয়েছে তার বেশিরভাগই খরচ হচ্ছে প্রশাসনিক ও বিজ্ঞাপন খাতে৷
রং করার কথা, কিন্তু হয়নি
চলতি বছরের শুরুতে হানোফার শহর কর্তৃপক্ষ এই শিল্পকর্মটি রং করার পরিকল্পনা করেছিল৷ সে কারণে এর চারদিক ঘিরেও ফেলা হয়েছিল৷ কাজটি দ্রুত শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শিল্পকর্মটি ঢাকা ছিল প্রায় চার মাস৷ আর অনুমতি না মেলায় রংও করা যায়নি৷ কিন্তু এসব করতে গিয়েই ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়৷
নাম ভুলের খেসারত
মাইনৎস-সহ আরও তিন শহরের স্থানীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম ভুল থাকায় প্রায় পাঁচ লাখ পেপার নতুন করে ছাপাতে হয়েছে৷ এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা৷
সৌর ফুল
ছবিতে ফুল আকৃতির সোলার প্যানেল দেখতে পাচ্ছেন৷ তবে এটি নাকি আলোকিত স্থানে নয়, স্থাপিত হয়েছে ছায়াচ্ছন্ন স্থানে! ফলে জার্মানির করদাতাদের সংগঠন বিডিএসটি একে অর্থের অপচয় হিসেবে দেখছে৷ অবশ্য টুরিঙ্গিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, সৌরশক্তি পেতে এটি স্থাপন করা হয়নি৷