1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনুব্রতের বিলাসবহুল গাড়ি-কাহিনি

২২ আগস্ট ২০২২

বীরভূমে একের পর এক চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেখান থেকে উঠে আসছে অনুব্রতের নানা কাহিনি।

https://p.dw.com/p/4Fr5v
এই চালকলেই পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি পায় সিবিআই।
এই চালকলেই পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি পায় সিবিআই। ছবি: Satyajit Shaw/DW

অনুব্রত মন্ডল শিবের ভক্ত। তাই তার নামে বা ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা চালকলগুলির নামও শিবের নাম দিয়ে। যেমন ভোলে ব্যোম চালকল। এখানে অনুব্রতের ২৫ শতাংশ ও মেয়ে সুকন্যার ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে সেখানে তল্লাশি চালাতে যায় সিবিআই। প্রথমে ৪০ মিনিট ধরে সিবিআই-কে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তারপর সিবিআই তল্লাশির কাগজপত্র দেখানোর পর গেট খোলা হয়।

ভোলে ব্যোমে ঢুকে একটু তল্লাশি চালাতেই সিবিআই আধিকারিকেরা খোঁজ পান পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ির। এই গাড়িগুলোর মধ্যে একাধিক গাড়িতে অনুব্রতকে ঘুরতে দেখা গেছে বলে সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে। সেখান থেকে পাওয়া গাড়ির তালিকায় আছে হুডখোলা মহিন্দ্রা থর, যার দাম প্রায় ১৬ লাখ টাকা। পাওয়া গেছে মহিন্দ্রা আল্ট্রা জি ফোর গাড়ি, যার দাম প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

এছাড়া পাওয়া গেছে ৩৬ লাখের ফোর্ড এন্ডেভার। গাড়ির কাগজ ব্যবসায়ী প্রবীর মন্ডলের। প্রবীর জানিয়েছেন, তিনি একটি অর্ডার পাওয়ার জন্য অনুব্রতকে এই গাড়িটি ও পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। অর্ডার পাননি। পরে গাড়ি ও টাকা ফেরত পেতে গেলে হুমকির মুখে পড়েন।

ভোলে ব্যোম চালকলে একটি মহিন্দ্রা ৫০০ গাড়ি পাওয়া গেছে। এই গাড়িটি সতীশ ট্রাস্টের নামে। বর্তমানে তার দাম প্রায় ২১ লাখ টাকা। এছাড়া ছিল একটি টাটা সুমো গোল্ড। গাড়িগুলিতে 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার' স্টিকার লাগানো।

সিবিআই আদালতের বিচারক সম্প্রতি অনুব্রত মন্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, সিবিআই জানিয়েছে, তারা অনুব্রতের নিজের নামে ও আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পত্তির প্রমাণ পেয়েছে। যে বিপুল সম্পত্তির কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা অনুব্রত দিতে পারেননি। কী করে তার কাছে এত সম্পত্তি এলো, তা তিনি বোঝাতে পারেননি।

ভোলে ব্যোম চালকলে সিবিআইয়ের তল্লাশি।
ভোলে ব্যোম চালকলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। ছবি: Satyajit Shaw/DW

সিবিআই সূত্র জানাচ্ছে, অনুব্রতের আত্মীয়দের নামে বেশ কয়েকটি চালকল, তেলকল বীরভূম ও অন্য জেলায় আছে। সোমবার সিবিআই বীরভূমে আরেকটি তেলকলে তল্লাশি চালিয়েছে। এই তেলকলের নামও শিবের নামে। বোলপুরে ১০-১২ বিঘে জমির উপরে এই কল। এর মালিক হিসাবে অনুব্রতের দিদি শিবানী ও ভাগ্নে রাজা ঘোষের নাম আছে। সিবিআই আধিকারিকেরা সকাল থেকে সেখানে গিয়ে তেলকলের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

রাজা ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, ওই চালকলের সঙ্গে তারা কোনোভাবে যুক্ত নন। অনুব্রতকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে এই চালকল নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।  

এরপর আরো কয়েকটি চাল ও তেলকলে সিবিআই তল্লাশি চালাতে পারে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, আনন্দবাজার)