অনিশ্চয়তার মাঝে বেঁচে থাকা
জর্ডানের আজরাক শহরে ৩০শে এপ্রিল একটি নতুন শরণার্থী শিবির খোলা হয়েছে৷ নাম আজরাক শরণার্থী শিবির৷ এর অবস্থান আম্মান থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে৷ সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন সিরিয়া থেকে আসা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার শরণার্থী৷
স্বাগত
আজরাক শরণার্থী শিবিরটি জর্ডানের তৃতীয় শরণার্থী শিবির৷ প্রতিদিনই অন্তত ৬০০ সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পার হয়ে জর্ডানে আসেন৷
আবাস তৈরি
আজরাক শরণার্থী শিবিরে মোটামুটি স্থায়ী একটি ভবন নির্মাণ করছেন এক শ্রমিক৷ গ্রামের আদলে গড়ে উঠছে শরণার্থী শিবিরটি৷ এটা জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ ১৫ বর্গ কিলোমটার এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠে এই শিবিরে আশ্রয় নিতে পারবেন ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ৷
আশ্রয়
জর্ডানের আজরাক শরনার্থী শিবিরের নির্মাণ কাজ চলছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ৫,৩০০ ইউনিট নির্মাণ হয়েছে৷ ২৪ বর্গ মিটার আয়তনের এক-একটি আবাসের জন্য খরচ হচ্ছে ২,৬৮৩ মার্কিন ডলার৷
সমস্যা
আজরাক শরণার্থী শিবিরের আগে আরো দুটি শরণার্থী শিবির গড়ে ওঠে জর্ডানে৷ প্রতিদিন দেশটিতে আসা ৬০০ শরণার্থী নিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে৷
আশার কিরণ
সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা মানুষগুলো যাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি খুঁজে পান, তেমনভাবেই সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে শরনার্থী শিবিরে৷
আজরাকের সুযোগ-সুবিধা
১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই আবাসস্থলটিকে চারটি গ্রামে ভাগ করা হয়েছে৷ এছাড়া রেড ক্রস দ্বারা পরিচালিত ৫০টি বিছানা বা বেড-সম্মিলিত একটি হাসপাতালও রয়েছে সেখানে৷ আর আছে দুই শিফটের কয়েকটি স্কুল৷
স্বয়ংসম্পূর্ণ
শরণার্থী শিবিরটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে৷ আছে থানা এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও৷
খাদ্য সরবরাহ
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ বেশ কিছু সংস্থা এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের খাদ্য সরবরাহে সহায়তা করে চলেছে৷