1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৪ লাখ পরিবার

সমীর কুমার দে ঢাকা
২২ আগস্ট ২০২৪

আকস্মিক বন্যায় ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের আটটি জেলায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা ও ফেনীতে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

https://p.dw.com/p/4jnne
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ-সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে বন্যা উদ্বেগ তৈরি করছে ছবি: Md Shobuj

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ-সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "উজানের পানি বাংলাদেশে ধেয়ে এসে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। কোনো ধরনের আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ না দিয়েই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।”

তবে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, "ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসাবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তা আমরা দেখেছি। তাদের দাবি তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।” 

আমরা কাপ্তাইতে যা করি, ভারতও তাদের ড্যামে সেটা করে'

হঠাৎ করেই এমন বন্যার জানতে চাইলে পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, "গোমতিতে যেটার কথা বলা হচ্ছে, সেটা একটা ড্যাম, বাঁধ না। যদি বেশি বৃষ্টি হয়, তাহলে ড্যামের জলাধারটা কানায় কানায় পূর্ণ হলে তো তার গেইট খুলে দিতে হবে। আমরা কাপ্তাইতে যা করি, ভারতও তাদের ড্যামে সেটা করে। এই সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। এটা তিনশ' থেকে সাড়ে তিনশ' মিলিমিটার। ভারতের কর্তৃপক্ষ রেড অ্যালার্ট দিয়েছে। তারা ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে প্রচুর পানি এসেছে। আমাদের আবহাওয়া দপ্তর এই বৃষ্টির খবর জানতো। হঠাৎ করে অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে এই কথা তো আমরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যারা কাজ করি, তারা তো বারবার বলে আসছি। কিন্তু কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। অনেকে বলছেন, গত ৩০-৪০ বছরে এখানে তারা এমন বন্যা দেখেননি। এর কারণ হলো, আগে কখনো এমন বৃষ্টি হয়নি এবং উজানে ড্যাম পানিটা ধরে রেখেছে। যে কারণে বন্যা হয়নি। এখন এই বৃষ্টিটা তো ফেনীতে না হয়ে ঢাকায়ও হতে পারতো? তাহলে কী হতো? ঢাকার ৮০ ভাগ এলাকা ডুবে যেতো এবং শান্তিনগর, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, মিরপুরসহ অনেক জায়গা ৬-৭ ফুট পানির নিচে থাকতো। অথচ এর জন্য আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই।”

সরকারীভাবে নেওয়া উদ্যোগ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্ত জেলার সংখ্যা আটটি। সেগুলো হলো, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসব জেলার ৫০টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫৭টি ইউনিয়ন। সরকারি হিসেবে বন্যায় ফেনীতে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন বলে দাবি করা হলেও কুমিল্লায় বৃহস্পতিবার তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন লোক এবং ৭ হাজার ৪৫৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য মোট ৪৪৪টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ নগদ টাকা ও ১৩ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সেনাবাহিনী থেকে ১৬০ জন সদস্য ও ৪০টি উদ্ধারকারী যান ফেনীতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। নৌবাহিনীর ৭১ জন সদস্য ও আটটি উদ্ধারকারী যান নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সাহায্য পৌঁছেনি দূর্গত এলাকায়

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছেন ফেনীর বাসিন্দারা। ফেনীর সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ফেনীর পুরোটাই ডুবে গেছে। সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ফোনের সংযোগও। ক্ষতিগ্রস্থ ৮টি জেলার মধ্যে ফেনী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে তাদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বেড়াতে গিয়ে পানিতে আটকা পড়েছিলেন ঢাকার ব্যবসায়ী আবু হোসেন মোমিন। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, "আমি পরিবার নিয়ে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়িটি দোতলা। নিচতলা পুরো ডুবে গেছে। মোবাইলে চার্জ না থাকায় পুরো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে আমরা চারজন পুরুষ কলাগাছ কেটে কয়েকটি কলার ভেলা তৈরি করি। সেটাতে পরিবারের শিশু ও নারীদের উঠিয়ে আমরা টেনে এনে প্রধান সড়কে এসেছি। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছি। ওই এলাকায় এখনো বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন। সেখানে কোনো উদ্ধারকারী বা ত্রানের কাউকে আমি দেখিনি। অর্ধহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকে।” 

বাংলাদেশের আট জেলা ও ভারতের ত্রিপুরায় প্রবল বন্যা

ভারতকে দোষারোপ, ভারতের অস্বীকার

বন্যার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে বসেছিল। বৈঠক শেষে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, "আমরা আশা করবো, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারত বাংলাদেশের জনগণবিরোধী এ ধরনের নীতি থেকে সরে আসবে। ভারতের এই নীতি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও জনগণ ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণকে কীভাবে একত্রে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করছে, কথা বলে আসছে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ভেতর কোনো টানাপোড়েন যাতে না রাখা হয় এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে যাতে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করা হয়।” বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের হাইকমিশনার। 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, "বাংলাদেশ ও ভারতে গোমতী নদী সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঁধের ভাটি এলাকার পানির কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে। ডম্বুর বাঁধ সীমান্ত থেকে অনেক দূরে, বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটার উজানে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার এই বাঁধের মাধ্যমে একটি বিদ্যুৎ-কেন্দ্র চলে। সেখান থেকে ত্রিপুরা হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায় বাংলাদেশ। ২১ আগস্ট থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ব্যাপক অন্তঃপ্রবাহের কারণে পানি নিজে থেকে বের হওয়ার ঘটনা দেখা গেছে।”

ভারত ড্যামের গেইট খুলে দেয়ার কারণে বন্যা হয়েছে- এমনটি যে কেউ কেউ বলছেন এ বিষয়ে প্রবীণ প্রকৌশলী ও পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বিষয়টি পুরোপুরি এমন না। তবে বন্যা যে সব কারণে হয়েছে, তার একটি এটি। আসলে অতিবৃষ্টির কারণেই এই বন্যাটি হয়েছে। জুলাই মাসের ১৫ তারিখ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে বন্যার মৌসুম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন যে কোনো এলাকায় এমন বন্যা হতে পারে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে।” 

‘তারা ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দিয়েছে’

৪৮ ঘন্টার আগে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না

প্লাবিত জেলাগুলো ভারতের ত্রিপুরা সংলগ্ন। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অফিস আরো ৪৮ ঘণ্টার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান ডয়চে ভেলেকে বলেন, " কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে অনেকগুলো রাস্তা, বাঁধ ও ব্রিজের অংশ। ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং ত্রিপুরার ভেতরের অববাহিকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।”

এদিকে বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছেন । বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে জানা যায়, ফেনীতে উদ্ধার কাজে তিনটি কন্টিনজেন্ট কাজ করছে। আগের একটির পাশাপাশি আজ থেকে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি কন্টিনজেন্ট। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, নৌবাহিনীর আরো দুটি কন্টিনজেন্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে ফেনীতে বন্যা-দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করছে। ডুবুরি সামগ্রী, লাইফ-জ্যাকেট, স্পিড বোট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে উদ্ধারকার্যে। জরুরি চিকিৎসা-সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বন্যায় জনের মৃত্যুর খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্যার পানিতে ডুবে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী বীরচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া সুবর্ণা আক্তার (১৯) বীরচন্দ্রপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। একই দিন ফেনীর ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. রাজু (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লায় বন্যা ও বৃষ্টির মধ্যে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, একজন মাথায় গাছ পড়ে এবং একজন পানিতে তলিয়ে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলেন-নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা কেরামত আলী (৪৫), নগরীর ছোটরা এলাকার রাফি (১৫) ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩৪)।