1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের পতাকা উঁচু রাখতে হবে: টুস্ক

১৩ মে ২০১০

জার্মানির আখেন শহরের বার্ষিক শার্লেমান পুরস্কার বৃহস্পতিবার গ্রহণ করলেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক ইউরোপীয় সহযোগীদের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য৷

https://p.dw.com/p/NMvv
‘একজন পোলিশ দেশপ্রেমী ও বড় মাপের এক ইউরোপীয়'ছবি: AP

টুস্ক ইউরো মুদ্রার বর্তমান সংকটের প্রেক্ষিতে ইউরোপে নতুন এক উজ্জীবনের হাওয়া তৈরি করার ডাক দিয়েছেন৷

আখেন শহরের ঐতিহাসিক পৌরভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ শহরের বিখ্যাত শার্লেমান পুরস্কার তুলে দেয়া হলো পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক-এর হাতে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে টুস্ক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নই হলো ইউরোপের সেরা মডেল৷ আর এই মডেল যে কত গুরুত্বপূর্ণ আর আকর্ষণীয়, সংকেটের সময়েই তা টের পাওয়া যায়৷ যেমন এখনকার গ্রিস সংকটে৷ টুস্ক বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যতই কঠিন হবে, অভিজ্ঞতা যতই যন্ত্রণাদায়ক হবে, যত বেশি মানুষ সংশয়ী হয়ে উঠবে, তত বেশি আমাদের ইউরোপের পতাকা উঁচু রাখতে হবে এ বং উচ্চ কণ্ঠে বলতে হবে যে ইউরোপ হলো এক বিস্ময়কর উদ্ভাবন৷''

NO-FLASH Karlspreis Donald Tusk
পুরস্কার সহ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টুস্কছবি: picture alliance/dpa

প্রশংসাপত্র পাঠ করতে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল টুস্ককে ‘একজন পোলিশ দেশপ্রেমী ও বড় মাপের এক ইউরোপীয়' বলে অভিহিত করেন৷ তিনি তাঁর ভাষণে টুস্ক-এর সহযোগিতার মনোভাবের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন৷ বলেন, টুস্ক এটা বুঝে নিয়েছেন যে, অনেক কিছুই শুধু ঐক্যবদ্ধ হয়েই অর্জন করা যেতে পারে এবং বহু লক্ষ্য সবার জন্যই শুভ বয়ে আনতে পারে৷ এ প্রসঙ্গে ইইউ'র লিসবন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী টুস্ক'এর স্বাক্ষর দেয়ার কথা উল্লেখ করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘ওঁর সাহায্য ছাড়া আজ কোন একত্রিত ইউরোপ সম্ভব ছিলনা৷''

আবেগ নিয়ে জোরেশোরে কাজ করতে আগ্রহী একজন সহিষ্ণু ইউরোপীয় বলতে যা বোঝায়, ম্যার্কেল'এর কাছে টুস্ক হলেন ঠিক তাই৷ পোল্যান্ডের বিখ্যাত সলিডারিটি আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সপক্ষে কাজ করেন এই পোলিশ রাজনীতিক৷ আর এই কাজের মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালের পুনরএকত্রীকরণের ভিত বেঁধে দেন এবং সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যের ইউরোপীয় ধারণাটাকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি৷

ডোনাল্ড টুস্ক তাঁর ভাষণে এই বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি৷ তিনি বলেন, বৈচিত্র্যই হলো ইউরোপের শক্তি৷ তিনি বলেন, এই সত্যটি তাঁর জানা যে, ইউরোপে মানুষ নিজেদের স্বভূমিবাসি ও পরবাসি মনে করে৷ তবে তিনি চান এর মধ্য থেকেই উঠে আসুক এক নতুন অভিন্ন সম্মিলিত শক্তি৷ টুস্ক ইউরোপকে শুধু গ্রিসের সংকটের মাঝে সীমিত করে রাখার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেন৷ ‘‘পোল্যান্ডে আমরা অভিন্ন ইউরোপের ভবিষ্যতে বিশ্বাস রাখি'', বলেন প্রধানমন্ত্রী টুস্ক৷

৫২ বছর বয়স্ক ডোনাল্ড টুস্ক'এর জন্ম ১৯৫৭ সালে পোল্যান্ডের বন্দর নগরী গেডানস্ক'এ৷ ২০০৭ সালে তিনি পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন