ভারতের অর্ধেক দূষণের কারণ হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য
১৩ মে ২০১০ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৪২,০৪৬১ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন হয়৷ আর এর মধ্যে ২৪,০৬৮২ কেজি বর্জ্য পরিশোধন করা হয়৷ তবে, ভারত সরকার ১৪,৯৫৯ টি হাসপাতালকে কারণ দেখানোর নোটিশও দিয়েছে৷ এই নোটিশে কেন এই হাসপাতালগুলো সঠিক পদ্ধতিতে জৈব-বর্জ্য পরিশুদ্ধ করছে না তার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়৷
আইআইএম জানায়, বর্তমানে জৈব মেডিক্যাল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার নিয়মানুযায়ী ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ জৈব-বর্জ্য আহরণ করে তা আলাদাভাবে পরিশোধন করা হয়৷ তবে, সারাদেশের ৮৪,৮০৯ টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৪৮,১৮৩ টি হাসপাতাল ১৭০ টি জৈব-বর্জ্য পরিশোধনাগার ব্যবহার করছে৷
সাধারণত হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্যকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়৷ এর মধ্যে একটি রোগ-সংক্রামক আর অপরটি সংক্রমণ মুক্ত৷ আর এই রোগ-সংক্রামক জৈব-বর্জ্যকে বৈজ্ঞানিকভাবে পরিশুদ্ধ করা না হলে তা সংক্রমণ মুক্ত বর্জ্যকে দূষিত করে৷ যা কিনা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য হুমকিস্বরূপ৷
১৯৯৮ সালের হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনানুযায়ী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তাদের উৎপন্ন বর্জ্য পরিবেশবান্ধব ও বৈজ্ঞানিকভাবে পরিশোধন করার কথা রয়েছে৷
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের হয়ে আইআইএম এই গবেষণা চালায়৷ এই গবেষণায় সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (সিপিসিবি) চিহ্নিত করেছে, হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য পরিশোধনের সুবিধা বিভিন্নভাবেই বাড়ানো আশু প্রয়োজন৷
হাসপাতালগুলোতে তাদের উৎপন্ন বর্জ্য শোধন করা বাধ্যতামূলক হলেও তাদের তা করার সুবিধা না থাকার কারণে বর্জ্য পরিশোধন করতে পারছে না বা দেখা যায় তাদের পরিশোধনের মেশিনগুলো বেকার হয়ে পড়ে রয়েছে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ১৫৭ টি পরিশোধনাগার রয়েছে তবে তা পর্যাপ্ত নয় হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য পরিশোধন করার জন্য৷ আর সিবিএমডাব্লিউটিএফ কে সরকারি বেসরকারি অংশীদারের মাধ্যমে গড়ে তোলার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে৷
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সরকার প্লাজমা প্রযুক্তি নির্ভর এমন একটি পরিশোধন যন্ত্র তৈরি করেছে যা প্রতি ঘন্টায় পঞ্চাশ টন হাসপাতাল-ক্লিনিকের জৈব-বর্জ্য পরিশোধন করবে৷
প্রতিবেদন : আসফারা হক
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়