আফ্রিকার নেতৃবর্গ উদ্বাস্তুদের সাহায্য করার পন্থা খুঁজছেন
২৩ অক্টোবর ২০০৯আফ্রিকান ইউনিয়নের কমিশনের চেয়ারম্যান জাঁ পিং বলেন যে, এই পলায়নপর মানুষদের স্রোত সমগ্র আফ্রিকার স্থিতিশীলতার পক্ষে একটি বিপদ বিশেষ৷ - সম্মেলন চলবে দু’দিন ধরে, এবং এই সম্মেলনে আফ্রিকার বাস্তুহারা মানুষদের সুরক্ষা এবং সাহায্য সংক্রান্ত চুক্তিটি অনুমোদিত হবে৷ কোনো দেশ কিংবা অঞ্চলের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তুদের ভাগ্য সংক্রান্ত এ-ধরণের চুক্তি এই প্রথম, জেনেভা চুক্তির সঙ্গে এখানেই তার তফাৎ৷
‘‘মাইলফলক’’
আফ্রিকার ৫৩টি দেশের মধ্যে ৪৬টি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে বটে, কিন্তু মাত্র চারটি দেশ তাদের রাষ্ট্র- কিংবা সরকারপ্রধানকে পাঠিয়েছে: জাম্বিয়া, জিমবাবওয়ে, সোমালিয়া এবং উগাণ্ডা৷ অথচ রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, সংঘাত এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে আফ্রিকাতেই বিশ্বের সর্বাধিক মানুষ বাস্তুহারা অথবা উদ্বাস্তু - যদিও জাতিসংঘের উদ্বাস্তু হাই কমিশনার আন্তোনিও গুতেরেজ কাম্পালায় বলেন যে, আফ্রিকায় উদ্বাস্তুর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে৷ অপরদিকে এই উদ্বাস্তুদের একটি বিপুল অংশ পাঁচ বছর, কি তার বেশী ধরে উদ্বাস্তুশিবিরে রয়েছে৷ তিনি জানান যে, ইউএনএইচসিআর আফ্রিকায় এক কোটির বেশী মানুষের দেখাশুনা করে থাকে৷ তার মধ্যে ২৬ লক্ষ হল উদ্বাস্তু; প্রায় তিন লক্ষ আগে উদ্বাস্তু ছিল, কিন্তু এখন বাড়ি ফিরেছে; ৬৩ লক্ষ স্বদেশেই উদ্বাস্তু; দশ লক্ষ, যাদের অন্যত্র পুনর্বাসন করা হয়েছে, এবং এক লক্ষ মানুষ বস্তুত নাগরিকত্ববিহীন৷ - কাজেই গুতেরেজ আফ্রিকান ইউনিয়নের উদ্বাস্তু চুক্তিটিকে মানবাধিকারের একটি মাইলফলক বলে অভিহিত করেন৷
কারণ অজ্ঞাত নয়
সোমালিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী সংঘাত, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে অস্থিতিশীলতা, কেনিয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতা, উত্তর উগাণ্ডা এবং দক্ষিণ সুদানে সংঘাত - এ’ সব থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে৷ শুধুমাত্র সোমালিয়ার এক কোটি মানুষদের এক-তৃতীয়াংশ ত্রাণসাহায্যের উপর নির্ভরশীল৷ এই পরিস্থিতিতে উগাণ্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়েরি মুসেভেনি সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘আমরা জানি এই উদ্বাস্তু সমস্যার কারণ কি৷ এই সমস্যার কারণ হল আফ্রিকার দেশগুলির অভ্যন্তরে যুদ্ধ এবং সংঘাত৷’’ সেগুলি রোধ অথবা বন্ধ করাই হল প্রধান সমাধান, বলেন মুসেভেনি৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই