মোসুলে ভিন্ন এক লড়াই
তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেটের’ বিরুদ্ধে ইরাকে চলছে তুমুল লড়াই৷ জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে কোণঠাসা করে ফেলা সম্ভব হলেও এখনো পুরোপুরি সরিয়ে দেয়া যায়নি মোসুল থেকে৷ তবে ইরাকি সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই এগোচ্ছেন৷
মিউজিয়ামে স্নাইপার
ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনীর এক স্নাইপার ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি মিউজিয়ামের মধ্যে অবস্থান নিয়েছেন৷ ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস)-এর জঙ্গিরা ২০১৫ সালে এই মিউজিয়ামে থাকা বিভিন্ন মূর্তি ও ভাস্কর্য ভাঙার ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিল৷
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন স্নাইপাররা৷ বিশেষ করে বেসামরিক প্রাণহানি কমানোয় এই পন্থা কাজে আসছে বলে দাবি ইরাকি বাহিনীর৷
উভয়পক্ষে নিশানাবাজ বন্দুকধারী
জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের জিহাদিদের মধ্যেও স্নাইপার রয়েছে বলে জানা গেছে৷ মোসুলের পশ্চিমাঞ্চলে তোলা এই ছবিতে আইএসের স্নাইপারদের এড়িয়ে ইরাকি বাহিনীর কয়েক সদস্যকে রাস্তা পার হতে দেখা যাচ্ছে৷
যথাসম্ভব লুকিয়ে থাকা
ইরাকি সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা নিজেদের যথাসম্ভব লুকিয়ে রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ এই ছবিতে আইএসের যোদ্ধাদের অবস্থানের বেশ কাছে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া এক বিল্ডিংয়ে এক স্নাইপারকে দেখা যাচ্ছে৷
মানববর্ম তৈরি করছে আইএস
মোসুলে আইএস জিহাদিরা মানববর্ম তৈরি করে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরাকি সেনাবাহিনী৷ স্নাইপাররা চেষ্টা করে বেসামরিক মানুষদের ঝুঁকির বাইরে রেখে শুধু জিহাদিদের হত্যা করতে৷
এখনো অনেকে আটকে আছে
মোসুলে তুমুল যুদ্ধের কারণে শহরটির দুই লাখের মতো বাসিন্দা অন্যত্র চলে গেছে৷ তবে এখনো প্রায় ছয় লাখ বেসামরিক মানুষ সেখানে রয়েছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ৷ আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলায় অনেক বেসামরিক মানুষও মারা যাচ্ছে৷