1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের প্রথম হিজড়া মডেলের যে ভিডিও ভাইরাল

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পাকিস্তানে হিজড়াদের মধ্যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী রিমাল আলী৷ দেশের প্রথম হিজড়া মডেল হিসেবে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2X9Od
Pakistan Hijra Transsexuelle Demo in Kopenhagen
পাকিস্তানের হিজড়া সম্প্রদায়ছবি: Imago/Dean Pictures

‘নাউ দিস’ রিমালের উপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও নির্মাণ করেছে৷ সেখানে তার মিউজিক ভিডিওর কিছু দৃশ্য এবং তার সাক্ষাৎকার রয়েছে৷ সাক্ষাৎকারে রিমাল বলেন, ‘‘পুরুষ, নারী, না হিজড়া- লিঙ্গ দিয়ে কেউ যেন আমাকে বিচার না করে৷’’ পাকিস্তানের গণমাধ্যমে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি কোনো ইতিবাচক ধারণা দেয়া হয় না৷ এর পরিবর্তন করতে চান রিমাল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার লিঙ্গ কী সেজন্য কিন্তু আমাকে মিউজিক ভিডিওগুলোতে সুযোগ দেয়া হয়নি, আমার যোগ্যতার কারণেই আমি কাজ পেয়েছি৷ আমিএকজন শিল্পী এবং আমি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি৷ মডেলিং, টিভি নাটক, যে কোনো সুযোগ দিলেই আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারব বলে আত্মবিশ্বাস রয়েছে৷’’

তবে কাজ করতে গিয়ে মিডিয়া জগতে বহুবার বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে৷ অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷ অনেক সময় সমঝোতা না হওয়ায় ভালো অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে৷ অনেক নারী মডেল তাঁর সঙ্গে কাজ করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করতন না৷ রিমাল বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ ভেবেই নেয় কোনো নাটক বা সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় একজন নারীই অভিনয় করবে৷ অথচ উন্নত দেশে হিজড়াকে নারী হিসেবেই ধারণা করা হয়৷ বেশিরভাগ দেশেই তাঁদের পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্রেও লিঙ্গ পরিচয় ‘নারী’ লেখা হয়৷ তাঁরা নারীর মতো কাজ করেন, বাঁচেন নারীর মতো৷ তাঁদের বিয়ে হয়, তাঁরা বাচ্চা নিতে পারেন৷ তাঁরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন৷’’ তাই তিনি প্রশ্ন রেখেছেন ‘‘পাকিস্তানে কেন এটা সম্ভব নয়?’’ রিমাল জানালেন, ‘‘এখনও পরিবার হিজড়াদের গ্রহণ করে না৷ আর তাই তাঁরা পেশা হিসেবে যৌন কর্মকে বেছে নেন৷’’ রিমালের মতে, পরিবার যদি হিজড়া সন্তানকে গ্রহণ করে, তবে সমাজেও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া সহজ হবে৷

তিনি নিজের এই মডেলিং পেশাকে এক আশার প্রদীপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, একটি প্রদীপ জ্বলেছে, এ থেকে হয়ত আরও অনেক প্রদীপ জ্বলবে৷

‘নাউ দিস’-এর ভিডিওটি ফেসবুকে ২ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করার পর এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার বার৷ শেয়ার হয়েছে অন্তত ৬ হাজার বার৷

পাকিস্তানে স্বল্পপরিচিত একটি ধর্মীয় সংগঠনের ৫০ জন আলেম গত বছরের জুন মাসে ফতোয়া জারি করেন৷ ফতোয়ায় বলা হয়, ইসলাম ধর্মানুযায়ী, যেসব হিজড়ার দেহে নারী বা পুরুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ‘দৃশ্যমান চিহ্ন’ দেখা যাবে, তাঁরা তাঁদের বিপরীত লিঙ্গের কাউকে বিয়ে করতে পারবেন৷ কিন্তু যাঁদের শরীরে উভয় লিঙ্গের ‘দৃশ্যমান চিহ্ন’ থাকবে তাঁরা বিয়ে করতে পারবেন না৷ এছাড়া ১৯ বছর পর এ বছরের মার্চে পাকিস্তানে যে আদমশুমারি হওয়ার কথা, তাতে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের গণনা করার কথা বলা হয়েছে৷

এপিবি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান