1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের প্রতি অন্যায় হয়েছে: ট্রাম্প

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে বুধবার মার্কিন পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট একে অপরের সমর্থনে কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/2V0TT
ছবি: Picture-alliance/dpa/K. Gideon

প্রথমে ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে নেতানিয়াহু এবং ওবামা প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরেছিল৷ আর এবার দীর্ঘ ৮ বছর পর সেই সম্পর্কের যেন ইতি ঘটল এবং তা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তিকে ঘিরে৷ জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে বুধবার মার্কিন পরররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরির বক্তব্যের পর দুই নেতাদের মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে যায়৷

কেরি তাঁর এক ঘণ্টার বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমরা যখন দেখতে পাচ্ছি শান্তির আশা আমাদের হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের বিবেক কি বলে না যে আমাদের কিছু করতে হবে? কিন্তু আমরা কিছুই করছি না, বলছিও না৷''

আর মাত্র তিন সপ্তাহ, তারপরেই ওবামা ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন৷ কেরিও আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকছেন না৷ আর ওবামার স্থলাভিষিক্ত হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কেরির ঐ মন্তব্য যে সরাসরি ট্রাম্পের দিকেই নির্দেশ করছে তা স্পষ্ট৷ কেননা ট্রাম্প এরই মধ্যে ইসরায়েলের সব কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ আর ইসরায়েলকে এও ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০ জানুয়ারিতে তার অভিষেকের পর অনেক কিছুতে পরিবর্তন আসবে৷ তিনি এও বলেছেন ইহুদি এই রাষ্ট্রের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে৷

কেরি তাঁর বক্তব্যে একটি কার্যকরি শান্তিচুক্তির জন্য ৬ পয়েন্টের ফ্রেমওয়ার্ক তুলে ধরেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘‘পরবর্তী মার্কিন সরকার এ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করতে পারে৷'' কেরি বলেন, ট্রাম্প হয়ত তাঁর কাছ থেকে অন্য ধরনের বক্তব্য আশা করেছেন৷ কিন্তু ওবামা চান তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্য শান্তিচুক্তি বিষয়ে সবার কাছে তার প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার হয়ে যায়৷

শুক্রবার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অধিকৃত এলাকার বৈধতা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়৷ কেরি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ইসরায়েল গণতন্ত্রের পথ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে৷''

কেরির বক্তব্যের অল্প কিছুক্ষণ পরেই নেতানিয়াহু জেরুসালেমে এক ভিডিওতে বক্তব্য রাখেন৷ সেখানে তিনি বলেন, ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে তার সম্পর্কের ইতি হয়েছে৷ আর ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে তিনি তৈরি৷ কেরির বক্তব্যের জবাবে তিনি ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে শান্তির গুরুত্ব সম্পর্কে ‘লেকচার' শোনার কোনো দরকার নেই ইসরায়েলের৷

ট্রাম্প অবশ্য বসতি স্থাপন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি৷ কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অনেক মানুষ অন্যায় করেছে৷'' ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মাসে দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে ইহুদি বসতি স্থাপনের ব‌্যাপারে শক্ত অবস্থান ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন৷

১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন এবং বিশ্বের বেশিরভাগ নেতা সেখানে তাদের বসতি স্থাপনের বিরোধিতা করে আসছে৷ বর্তমানে ঐ বসতিতে ৬ লাখ ইসরায়েলির বসবাস৷ তাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্ব নেতারা৷

এর আগে বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বিরোধী প্রস্তাবনা পাসের মুখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পূর্ব জেরুসালেমে নতুন বাড়ি নির্মাণের পদক্ষেপ অনুমোদন করা থেকে সরে আসেন৷ জন কেরির বক্তব্যের আগে তিনি এ পদক্ষেপ নেন৷

এপিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য