1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা

১৪ নভেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা এবং সেনাবাহিনীর চলমান সংঘর্ষ সপ্তাহান্তে ব্যাপক রূপ নিয়েছিল৷ সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন রোহিঙ্গা এবং দু'জন সেনাসদস্য মারা গেছে৷ স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে রোহিঙ্গাদের অনেক ঘর পোড়ানোর দৃশ্যও ফুটে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/2Sf2k
একটি রোহিঙ্গা গ্রাম
ছবি: Reuters/Soe Zeya Tun

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং সেই অভিযানে হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ সেনাবাহিনীর দাবি, সেনা হামলায় নিহতরা জঙ্গি৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো ঘিরে রেখে সেনাবাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তাতে মূলত বেসামরিক নাগরিকই নিহত হয়েছে৷

গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তে তিনটি চেকপোস্টে ন'জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর থেকেই রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী৷

গেল সপ্তাহান্তে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী মাউংড-তে ব্যাপক অভিযান চালায় সেনাবাহিনী৷ সেনাবাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো জানা যায়নি৷ তবে এ পর্যন্ত অন্তত ২৮ জন রোহিঙ্গা এবং দু'জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর থেকে চলে আসা সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন রোহিঙ্গা এবং ১৭ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছে৷ ২০১২ সালের কথিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর চলমান এই সংঘর্ষেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটল৷

এদিকে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গা হত্যার পাশাপাশি ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়িতে অগ্নি সংযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইট থেকে তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে৷ ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর অনেক বাড়ি পুড়ে প্রায় ছাই৷ মানবাধিকার সংস্থাটির অনুমান, অন্তত ৪৩০টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে৷ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা তদন্তের জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানিয়েছে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য