1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ই-মেল কেলেঙ্কারি থেকে নিষ্কৃতি

৭ নভেম্বর ২০১৬

নির্বাচনের ঠিক আগে ই-মেল কেলেঙ্কারির থাবা থেকে আবার রেহাই পেলেন হিলারি ক্লিন্টন৷ কিন্তু এ ক'দিন তাঁর যে ক্ষতি হয়ে গেছে, ব্যালট বাক্সে তার প্রতিফলন ঘটবে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/2SFxb
হিলারি ক্লিন্টন
ছবি: Reuters/B. Snyder

মার্কিন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিল, হিলারি ক্লিন্টনের ব্যক্তিগত ই-মেল সার্ভার থেকে পাওয়া কিছু ই-মেল নিয়ে নতুন করে তদন্ত হতে পারে৷ বিরোধী রিপাবলিকান দলের বিপর্যস্ত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সুবর্ণ সুযোগ লুফে নিয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন, ‘‘এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা যায় না৷'' রবিবার এফবিআই জানিয়েছে, এই তদন্তের আওতায় ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না৷

ই-মেল কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হবার পর গত ১০ দিনে কয়েক লক্ষ মার্কিন নাগরিক আগাম ভোট দিয়ে দিয়েছেন৷ তাঁদের সিদ্ধান্তের উপর ঘটনাটি কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা কেউ জানে না৷ তবে কিছু মহল মনে করে, এর ফলে ক্লিন্টনের সুবিধাই হয়েছে৷

শেষ মুহূর্তে এফবিআই ক্লিন্টনকে রেহাই দিলেও বাকি ভোটাররা মনস্থির করে ফেলেছেন কিনা, তাও জানা নেই৷ জনমত সমীক্ষায় ক্লিন্টন এখনো ট্রাম্পের তুলনায় সামান্য এগিয়ে আছেন৷ তবে সেই ফারাক তাঁর জয়ের সম্ভাবনা মোটেই উজ্জ্বল করতে পারছে না৷

ক্লিন্টন শিবির অবশ্য আশাবাদী৷ ই-মেল কেলেঙ্কারির কালো ছায়া আপাতত সরে যাবার ফলে তাদের আশা, ভোটাররা এবার শুধু দুই প্রার্থীর যোগ্যতা বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবেন৷

অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবির এফবিআই-এর সোমবারের ঘোষণায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে৷ তদন্তে এত দ্রুত অগ্রগতি এবং তার এত সহজ পরিণতি নিয়ে তারা সন্দেহও প্রকাশ করেছে৷

ট্রাম্প আবার গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ‘রিগিং', অর্থাৎ ভোট কারচুপি নিয়ে তাঁর অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন৷ তাঁর মতে, হিলারি ক্লিন্টনকে রক্ষা করতে গোটা প্রশাসন যন্ত্র কাজ করছে৷

দুই প্রার্থীই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বিশেষ করে যেসব রাজ্যের ভোট আগামী ৯ই নভেম্বর ভোটগ্রহণের গতি বদলে দিতে পারে, সেই সব ‘সুইং স্টেট'-গুলিকে তাঁরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য